|
|
|
|
টুকরো খবর |
রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ নলহাটিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
এলাকার রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই পুরনো নকশা অনুযায়ী রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেন এলাকার চাষিদের একাংশ। সমস্যাটি নলহাটি থানার তৈলপাড়া গ্রামের। ওই গ্রামের চাষিদের একাংশ এ ব্যাপারে সম্প্রতি বিডিও-সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। গ্রামবাসী সুকুমার ঘোষ জানান, তৈলপাড়া থেকে নাকাটিপাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য জেলাপরিষদ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় কাজ শুরু করে মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে। তাঁর দাবি, “কাজ শুরুর পর দেখা যাচ্ছে, আমার জমির বেশ কিছু অংশ রাস্তা সংস্কারের জন্য নিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই রকম ভাবে সাত জন চাষির জমির মাটি কেটে ফেলা হয়েছে।” চাষিদের অভিযোগ, “রাস্তা তৈরি হচ্ছে ভাল কথা। তাই বলে চাষিদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে অধিগ্রহণ করে জমির ক্ষতি করা হবে তা কী ভাবে মেনে নেওয়া যায়।” পুরনো নকশা অনুযায়ী রাস্তা করা-সহ জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ন্যায্য মূল্য দাবি করেছেন তাঁরা। নলহাটি ১ব্লকের বিডিও তাপস বিশ্বাস বলেন, “চাষিদের আবেদনের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন ভট্টাচার্যের দাবি, “চাষিদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি, একথা ঠিক নয়। এই গরমেও এলাকায় গিয়ে বোঝানো হয়েছে। দু’এক জন চাষি জমি দিতে আপত্তি করেছেন। তবে অনেকেই জমির ব্যাপারে আপত্তি করেননি।” এই রাস্তা নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাহী বাস্তুকার সঞ্চিত হালদার বলেন, “চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করেই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এর জন্য যে পরিমাণ জমি রাস্তার দু’ধার থেকে নেওয়া হয়েছে, তাতে আপত্তি থাকা উচিত নয়। প্রয়োজনে চাষিদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে।”
|
লো ভোল্টেজ, পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
লোভোল্টেজের সমস্যায় সেচের জন্য এলাকার চাষিরা পাম্প চালাতে পারছেন না। এর ফলে বোরো ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ১০-১২ দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন মুরারইয়ের হিয়াতনগর, পাইকর, কাশিমনগর-সহ ১৫টি গ্রামের চাষিরা। এর প্রতিবাদে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির হিয়াতনগর সাবস্টেশনের দুই কর্মীকে বাইরে বের করে দিয়ে তালা ঝোলান চাষিদের একাংশ। বুধবার তালা দেওয়া ছাড়াও মুরারই-রঘুনাথগঞ্জ রাস্তার, হিয়াতনগর মোড়ে অবরোধ করেন চাষিরা। সাধারণ গ্রাহকও সাবস্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন। চাষি মফিজুল শেখ, আজারুল খানদের অভিযোগ, “দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রশাসন বা বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের দেখা মেলেনি। তাই প্রতিবাদে তালা দিয়ে অবরোধ করা হয়েছে।” বিকেল ৪টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রামপুরহাট বিভাগীয় বাস্তুকার নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “রঘুনাথগঞ্জ থেকে মুরারই, পাইকর এলাকায় বিদ্যুৎ আসছে। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাচ্ছি, তাই দিয়ে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি আছে। তাই নিয়ম মেনে পরিমাণ মতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় মাঝে মধ্যে সমস্যা হচ্ছে।”
|
ছাড়া পেলেন দুই জেলবন্দি
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো বুধবার জেলবন্দি দু’জন ছাড়া পেলেন সিউড়ি সংশোধনাগার থেকে। কাঁকরতলার বড়া গ্রামের শেখ লখু ও নবদ্বীপের বাউনপুকুরের মীর মোজাফ্ফর হোসেন খুনের ঘটনায় জেলে ছিলেন। ১৪ বছর ৭ মাস পরে ছাড়া পেলেন শেখ লখু। তাঁকে নিতে হাজির ছিলেন ভাই শেখ আসগর, ১৪ বছরের ছেলে শেখ রকি। লখুর প্রতিক্রিয়া, “আনন্দের দিন। বৃহস্পতিবার আরও আনন্দের দিন। কারণ, আমার দুই ভাই লালগোলা জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে।” যদিও মীর মোজাফ্ফরের লোকজন ছিলেন না। ততে তাঁর আক্ষেপ নেই। এক ছেলে ও এক মেয়ে উত্তরপ্রদেশে পড়াশোনা করছে। বাড়ির লোকজন জানতে পারেননি, তিনি এ দিন মুক্তি পাচ্ছেন। সোমবার বলেছিলেন, “আগে ১৪৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আরও ২২ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
|
সহায়িকাদের প্রশিক্ষণ শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠ্যক্রমের সঙ্গে কী ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় করাতে হবে, সে বিষয়ে অবহিত করতে তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হল দুবরাজপুরে। বুধবার দুবরাজপুর পুর এলাকার শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকাদের নিয়ে এই শিবির শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষক এলাকার কয়েক জন প্রাথমিক শিক্ষক। পুর এলাকায় থাকা ২৫টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ৭৮ জন সহায়িকাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে।
|
মারধরের নালিশ |
বুধবার ময়ূরেশ্বরে নওয়াপাড়ায় একটি সাইকেল হারানোকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। |
|
|
|
|
|