|
|
|
|
সময় চাইলেন, কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রবিবার |
মর্গ্যানের পা ধরে ভক্তদের আর্তি, ছেড়ে যাবেন না |
সোহম দে • কলকাতা |
চার বছর পরে এএফসি কাপে শাপমোচনের মুখে ইস্টবেঙ্গলের। দীর্ঘ চেষ্টার পরে অবশেষে গ্রুপের গণ্ডি পেরিয়ে শেষ ষোলোর স্বাদ এখন লাল-হলুদ ব্রিগেডের ধরাছোঁয়ার মধ্যে।
এ রকম একটা দিনের সেরা ছবি কী হতে পারে? লালরিন্দিকা রালতের অনবদ্য গোল? নাকি এএফসি কাপের নকআউটের রাস্তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় লাল-হলুদ শিবিরের উচ্ছ্বাস?
না, এর কোনওটাই নয়। মঙ্গলবার যুবভারতীর সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে রাখতেই হবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অসহায় আর্তনাদ। ম্যাচ শেষ। প্রিয় ক্লাব চলে গিয়েছে টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে। অথচ মাঠফেরত লাল-হলুদ সমর্থকদের গলায় আর্তনাদ ‘মর্গ্যান ডোন্ট গো।’
ব্রিটিশ কোচকে ঘিরে সমর্থকদের আকুতি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, বোঝা গেল ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই। যখন যুবভারতী থেকে মর্গ্যান বেরোতে না বেরোতেই তাঁকে ঘিরে উপচে পড়ল সমর্থকদের ভিড়। সাহেব কোচের হাত ধরে, এমনকী তাঁর পা ধরেও ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের আবেদন। কী? না, পরের মরসুমেও তাঁকেই চিডি-ওপারাদের কোচ হিসেবে দেখতে চান সমর্থকরা। প্রায় চার বছর ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সামলানো কোচের জনপ্রিয়তা কোন জায়গায়, বুঝতে অসুবিধে হবে না। না হলে চৈত্রের এই অসহ্য গরমের দুপুরে কীসের টানে গ্যালারি ভরে যায়?
তাই জয়ের খুশির মধ্যেও কোথাও যেন থেকে যায় বিষাদের ছায়া। তাম্পাইন্স রোভার্সকে হারিয়ে নকআউট রাউন্ডের ছাড়পত্র প্রায় হাতে চলে এলেও পরের মরসুমে মর্গ্যান নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এ দিনই ক্লাবকে লিখিত ভাবে মর্গ্যান জানিয়ে দেন, কীসের জন্য তিনি ক্লাব ছাড়তে চাইছেন। ম্যাচের পর তিনি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। বলেন, মূলত পরিবারের কথা ভেবেই তিনি সরে যেতে চাইছেন। এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দু’তিন দিনের মধ্যেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। মর্গ্যানকে রেখে দেওয়ার সব রকম চেষ্টা চলছে ক্লাবের তরফে। এ দিন সন্তোষবাবু যেমন বলছিলেন, “সে রকম হলে কোচের পরিবারকে কলকাতায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে।” রবিবার স্পোর্টিং ম্যাচের পরে কোচের সঙ্গে আর এক দফা আলোচনা হবে কর্তাদের। কোচ-প্রসঙ্গে মাঠ ছাড়ার আগে লাল-হলুদ অধিনায়ক সঞ্জু প্রধান বলে গেলেন, “গত তিন বছরে ক্লাবকে অনেক সাফল্য দিয়েছেন মর্গ্যান। কোচের এক নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তিন বছর খেলেছি আমরা। কোচ চলে গেলে অবশ্যই সেটা বদলাবে।” তবে মর্গ্যান ব্যক্তিগত কারণের জন্য দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চাইলে তাঁকে আটকানো উচিত হবে না বলেই মনে করছেন সঞ্জু। “কোচের ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেটা আমাদের সবারই শ্রদ্ধা করা উচিত।” আর এএফসি কাপে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কী ভাবছেন অধিনায়ক? “চার বছরের চেষ্টার পর অবশেষে এএফসি কাপের পরের রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত। তবে এ বার আবার আই লিগে মন দিতে হবে।”
|
পুরনো খবর: কলকাতার ফুটবল-উচ্ছ্বাস, ডার্বি ভুলবেন না মর্গ্যান |
|
|
|
|
|