এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর প্রতিবাদে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) জেলা নেতা শুভজিৎ দাস। টিএমসিপি-র অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে এ বার পদত্যাগী নেতাকে সংগঠনে টানতে তৎপর হল ছাত্র পরিষদ (সিপি)। দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে শুভজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন সিপি-র জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল। তা হলে কী শুভজিৎ সিপি-তে যোগ দিতে চলেছেন? বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ দু’পক্ষই।
পদত্যাগী টিএমসিপি নেতার সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে, তা মেনে সইফুল বলেন, “আমি শুধু ফোনে জানিয়েছি, সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা সকলে দুঃখিত। এমন ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া স্বাভাবিক।” শুভজিৎ কী সিপিতে যোগ দিচ্ছেন? প্রশ্নের সদুত্তর এড়িয়ে সিপি-র জেলা সভাপতির কৌশলী জবাব, “ছাত্রবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত নন, এমন সকলের জন্যই সংগঠনের দরজা খোলা রয়েছে। এমন কেউ যদি সংগঠনে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেন, আমরা গুরুত্ব দিয়েই দেখব।”
সইফুলের সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে, তা মেনে শুভজিতের বক্তব্য, “শুধু ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি কেন? আরও একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমার সঙ্গে কী অন্য কারও কথা হতে পারে না?” তাঁর কথায়, “যে আদর্শ ও অনুপ্রেরণার সঙ্গে আমি টিএমসিপি করতে আগ্রহী হয়েছিলাম, সেই জায়গা থেকে আমি আশাহত। তাই পদত্যাগ করেছি। আরও কোনও সংগঠনেরই পদে থাকতে চাই না। আমি পদত্যাগপত্রেও এই বিষয়টির উল্লেখ করেছি।”
যদিও শুভজিতের এই বক্তব্যে এখনই যাবতীয় জল্পনায় জল পড়ছে না। কারণ, সুদীপ্ত-মৃত্যুর প্রতিবাদে দু’দিন আগে মেদিনীপুরে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলে যে কনভেনশন করেছিল, তার চিঠিও পদত্যাগী টিএমসিপি নেতার কাছে পৌঁছেছিল বলে খবর। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে শুভজিৎ বলেন, “কনভেনশনের চিঠি পেয়েছিলাম। তবে যাইনি।” তাঁর সেই একই বক্তব্য, “আমি আর ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না।” চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার করলেও এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা এ দিন বলেন, “সুদীপ্তর মৃত্যুতে তৃণমূলের অন্দরেও যে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করেছে, এ ঘটনা তারই প্রমাণ। ওদের নীতি-আদর্শ বলে কিছু নেই। যাঁরা ওদের সঙ্গে রয়েছেন, তাঁরা ভুল বুঝতে শুরু করেছেন।”
|
