সিপিএম নেতার জেল হাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা কালীপদ মাহাতোকে জেল হাজতে পাঠাল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার কালীপদবাবুকে আদালতে তোলা হয়। এ দিনও কালীপদবাবুর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অশ্বিনী মণ্ডল। তাঁর মক্কেল অসুস্থ জানিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। জামিনের আবেদন খারিজ করে কালীপদবাবুকে ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কালীপদবাবুকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানোর জন্য ঝাড়গ্রাম উপ সংশোধনাগার (ঝাড়গ্রাম সাব-জেল) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। |
|
আদালত চত্বরে কালীপদ মাহাতো।—নিজস্ব চিত্র। |
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া অঞ্চলের কিসমত জামবেদিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেসরকারি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট গিরিশ সহিস জমিতে সেচের জল দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। ওই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) লোকাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ মাহাতোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার কালীপদবাবুকে আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ষাট বছরের কালীপদবাবু দু’মাস আগে সরকারি গ্রন্থাগারিকের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিপূর্বে চার জন সিপিএম কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। পরে চার জনই জামিন পেয়ে যান। অভিযুক্তের আইনজীবী অশ্বিনী মণ্ডল সোমবার আদালতে বলেন, ‘‘মামলার এফআইআর-এ কালীপদবাবুর নাম নেই। তাঁকে হেফাজতে নিয়েও কোনও কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পরিকল্পিত ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলবন্দি করে রাখার জন্যই কালীপদবাবুকে খুনের মামলায় জড়ানো হয়েছে।”
|
পুরনো খবর: ঝাড়গ্রামে গুলিতে খুন এজেন্ট |
|