|
|
|
|
ঝাড়গ্রামে গুলিতে খুন এজেন্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
খুন-নাশকতার ছবিটা অনেকটাই ফিকে হয়েছিল। ফিরছিল ছন্দ। পুজোর মুখে ঝাড়গ্রামে খুন ফের পুরনো আতঙ্কই উস্কে দিল।
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১২ কিমি দূরে বাঁধগোড়া অঞ্চলের কিসমত-জামবেদিয়া গ্রাম। শুক্রবার সকালে গ্রামের অদূরে ধানখেতের পাশে বেসরকারি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট গিরিশ সহিসের (৪১) গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। চারপাশে ছড়ানো ছিল মাওবাদীদের নামাঙ্কিত সাদা কাগজে লাল কালিতে হাতে লেখা কিছু পোস্টার। তাতে কিষেণজি হত্যায় তৃণমূল সরকারকে দায়ী করে ‘হুঁশিয়ারি’র পাশাপাশি, যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি ছিল। ছিল জঙ্গলমহলের যুবক-যুবতীদের পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ সম্পর্কে কটাক্ষও। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষ অবশ্য বলেন, “এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে একটি দুষ্টচক্র ওই খুন করেছে। ওই পোস্টার আদৌ মাওবাদীদের নয়। তদন্ত চলছে। শীঘ্রই অভিযুক্তেরা ধরা পড়বে।”
|
গিরিশ সহিস |
গিরিশবাবুকে দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি করে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের অভিযোগ, “সিপিএম এই খুন করে দৃষ্টি ঘোরাতে মাওবাদীদের নামে পোস্টার দিয়েছে।” সিপিএমের ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ লোকাল সম্পাদক কালীপদ মাহাতোর পাল্টা অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাস ছড়াতে মাওবাদী কায়দায় তৃণমূলীরাই খুন করেছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে ডিওয়াইএফ সদস্য ছিলেন গিরিশবাবু। মাওবাদী-কমিটির আন্দোলন পর্বে সিপিএমের সংস্রব ত্যাগ করেন। তখন কমিটির মিছিল-সভায় দেখা যেত তাঁকে। গিরিশবাবুর স্ত্রী দীপালিদেবী অবশ্য বলেন, “আমার স্বামী কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।”
বৃহস্পতিবারই আদিবাসীদের করম পরব উপলক্ষে বেলপাহাড়িতে এসে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরে এসেছে’। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই খুন। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে খবর, গিরিশবাবু চাষবাসও করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ধানখেতে সেচের জল দিতে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। এ দিন সকালে তাঁর দেহ মেলে। গুলিতে চোয়ালের একাংশ উড়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে যান ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা ও পুলিশ সুপার। |
|
|
|
|
|