|
|
|
|
ছাঁটাই কর্মীদের বিক্ষোভ |
এবিজি-র প্রসঙ্গ এড়িয়েই বন্দর সফর ভাসানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া-জটের মূলে আছে এবিজি নিয়ে টানাপোড়েন। অথচ প্রথম বার পরিদর্শনে এসে এবিজি-র বিদায় এবং হলদিয়া বন্দরের পণ্য খালাসের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়েই গেলেন জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসান। কলকাতায় তাঁকে এবিজি-র ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়। এর মধ্যেই হলদিয়া বন্দরে ড্রেজিংয়ের কাজে ভর্তুকি চালু রাখার আশ্বাস দিয়েছেন জাহাজমন্ত্রী।
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ সোমবার মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেন, গঙ্গার দু’পারে বন্দরের হাতে থাকা আবাসন-সহ জমি অন্যান্য কাজে ব্যবহারের অনুমতি দিক জাহাজ মন্ত্রক। সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দেন ভাসান। তাঁর বক্তব্য, এখন এ-সব থাকুক। পরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। মুম্বই বন্দরের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বন্দরকর্তাদের জানিয়ে দেন তিনি।
বন্দরকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভাসান বলেন, “সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে কলকাতা বন্দর চার কোটি টন পণ্য খালাস করেছে। রেকর্ড পরিমাণ বাক্সবন্দি পণ্য ওঠানামা করেছে এখানে। বন্দরের হাতে আপাতত নতুন তিনটি প্রকল্প রয়েছে। |
|
ফের কাজ চেয়ে সরব এবিজি-র ছাঁটাই কর্মীরা। কলকাতায় জাহাজমন্ত্রীর ছবির সামনে। -নিজস্ব চিত্র
|
শালুকখালিতে দ্বিতীয় হলদিয়া বন্দর, সাগরে বন্দর নির্মাণ এবং ডায়মন্ড হারবারে বাক্সবন্দি পণ্য খালাসের ব্যবস্থা। হলদিয়ার দুই এবং আট নম্বর বার্থে (যেখানে এবিজি কাজ করত) নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা হচ্ছে।
হলদিয়া থেকে এবিজি-র বিদায় পর্ব নিয়ে জাহাজ মন্ত্রক যে-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, তার কী হল?
ভাসান বলেন, “হলদিয়ার দুই এবং আট নম্বর বার্থে নতুন দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়ায় যাতে সব নিয়মকানুন মেনেই পণ্য খালাসকারী সংস্থা নিয়োগ করা হয়, সেটা দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এবিজি-র ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা যাতে বন্দরের নতুন প্রকল্পে কাজ পান, তার জন্যও ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” ভাসান এ দিন কলকাতা বন্দরের সদর দফতরে আসার সময় এবিজি-র ছাঁটাই হওয়া কর্মী-শ্রমিকেরা সেখানে জড়ো হন। ফের কাজে বহাল করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। কলকাতা বন্দরের কর্তাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের উন্নয়নে জাহাজমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জি জানান কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া এবং আইএনটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান। হলদিয়া থেকে এবিজি বিদায় নেওয়ার পরে সেখানকার অচলাবস্থা, বন্দরের আয় কমে যাওয়া এবং সেখানকার ছাঁটাই হওয়া ৪০০ জন কর্মীকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন ওই দুই নেতা। মানসবাবুর অভিযোগ, হলদিয়া বন্দর রাজ্যের তথা পূর্ব ভারতের অর্থনীতি বিকাশের কেন্দ্র ছিল। কিন্তু রাজ্য ও জেলা প্রশাসন অসহযোগিতা করছে। শাসক দল এবং তাদের শ্রমিক সংগঠন একতরফা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালানোয় জটিলতা আরও বেড়েছে। সব শিল্প ও বাণিজ্য সংস্থা হলদিয়া ছেড়ে পারাদীপ বা বিশাখাপত্তনমে চলে যাচ্ছে। মানসবাবু বলেন, “হলদিয়াকে বাঁচাতে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি।”
|
পুরনো খবর: এবিজি-র বিদায়ে ভুগছে পুরসভাও, দাবি তমালিকার |
|
|
|
|
|