|
|
|
|
ডাল লেক হত্যাকাণ্ড |
কেন খুন, মুখে কুলুপ ডাচ পর্যটকের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
নিজের অপরাধ স্বীকার করলেও, কেন সে ব্রিটিশ তরুণী সারা গ্রোভসকে খুন করল, সে বিষয়ে কিছুই বলছে না ডাচ পর্যটক। গত কাল রিচার্ড জানিয়েছিল, ক্যানাবিসের ঘোরে এই কাজ করেছিল সে। কিন্তু এই জবাবে মোটেই সন্তুষ্ট নয় পুলিশ।
|
সারা গ্রোভস |
সারার শরীরের অন্তত ৪০ বার ছুরি দিয়ে কোপানোর চিহ্ন স্পষ্ট। আঙুল কাটা, রক্তাক্ত দেহটা পড়ে ছিল বিছানার উপর। জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল, তাই যৌন হেনস্থার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও কথাই বলছে না অভিযুক্ত রিচার্ড ডিউইট। যদি সেই সময় বান্ধবীর সঙ্গেই থাকতেন, তা হলে হয়তো এখনও বেঁচে থাকতেন সারা, এই ভেবেই হাত কামড়াচ্ছেন ২৫ বছরের যুবক সইদ আহমেদ শোড়া। বিধ্বস্ত তাঁর পরিবারও।
গত দু’মাস ধরে শোড়া পরিবারের সঙ্গে কাশ্মীরেই ছিলেন সারা। প্রেমিক সইদের সঙ্গে সেখানে এসেছিলেন তিনি। দু’জনের বিয়ে হওয়ার কথাও ছিল। উঠেছিলেন সইদদের হাউসবোটেই। সইদের মা হাফিজা বললেন, “খুব লাজুক ছিল মেয়েটা, কাশ্মীরিতে আমাকে মা বলেই ডাকত।” ঘটনার দিন সইদ বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সারাকেও বলেছিলেন সঙ্গে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। হাফিজা তাতে বলেছিলেন, রাতে তিনি সারার সঙ্গে থাকবেন। কিন্তু তাতেও রাজি হননি ব্রিটিশ তরুণী। বলেছিলেন, রাতে একটু বাবার সঙ্গে ফোনে গল্প করব। একটা বই পড়ারও ইচ্ছে আছে। মহিলা এ দিন বলছিলেন, “এক বারও যদি বুঝতে পারতাম, রিচার্ডের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে, কিছুতেই ভাড়া দিতাম না। খুব অসহায় লাগছে।”
থানায় রিচার্ডের মুখোমুখি হয়েছিলেন সইদ। বললেন, “জানতে চেয়েছিলাম, কেন ওকে খুন করলে?” পরে আবার সইদ নিজেই জানালেন, “ওকে দেখে মনে হচ্ছে, ওর মাথার ঠিক নেই। মনে হচ্ছে ও ইহ জগতেই নেই। নিজের অপরাধ স্বীকার করলেও, বিশদ কিছুই বলছে না। আমি চাই ওর ফাঁসি হোক।” পুলিশ জানিয়েছে, বার বার জেরায় রিচার্ড শুধু একটা কথাই বলছে, “আমার শরীরে তখন যেন একটা দানব চেপেছিল।”
সারার মা-বাবা কেট এবং ভিক্টর এ দেশে আসার জন্য রওনা হয়েছেন। ভাই টম ইতিমধ্যেই অন-লাইনে প্রচার শুরু করেছেন ‘বিচার চাই’। গত ক’মাসে একের পর এক মেয়েদের উপর যৌন হেনস্থার ঘটনায় ইতিমধ্যে ভারতে বিদেশি পর্যটকদের আসা ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। ডাল লেক হত্যাকাণ্ডের পর হয়তো আরও বড় কোপ পড়তে চলেছে সেখানে।
|
পুরনো খবর: নেশার ঘোরেই খুন, ডাচ যুবকের বয়ান বাড়াল ধন্দ |
|
|
|
|
|