|
|
|
|
মহিলাদের গুরুত্ব, ধর্মঘট-ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন সিটু সম্মেলনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শীর্ষ দুই মুখের কোনও বদল হল না। কিন্তু সম্মেলনে সমালোচনার প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় নেতৃত্বে আরও কিছু মহিলা মুখ আনল সিটু। রাজ্য কমিটিগুলিকেও বলা হল, নেতৃস্থানীয় স্তরে মহিলাদের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে।
কেরলের কান্নুরে সিটুর চতুর্দশ সর্বভারতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে সোমবার যে নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়েছে, তার সহ-সভাপতিদের তালিকায় তিন জন মহিলা। সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে রয়েছেন চার জন মহিলা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিটু নেত্রী রত্না দত্তও। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ কে পদ্মনাভন যথাক্রমে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি এবং তপন সেন জাতীয় সম্পাদক হিসাবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন। এ রাজ্যের দুই নেতা শ্যামল চক্রবর্তী এবং বাসুদেব আচারিয়া রয়েছেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিদের মধ্যে। বয়সজনিত কারণে সিটুর রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে কালী ঘোষ সরে যাওয়ায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের তালিকাতেও তাঁর জায়গায় এসেছেন নতুন রাজ্য সম্পাদক দীপক দাশগুপ্ত। সঙ্গে আছেন প্রশান্ত নন্দী চৌধুরীও।
মহিলা সদস্যের সংখ্যা বাড়লেও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন উঠেছিল সম্মেলনে। সাধারণ সম্পাদক তপনবাবু তাঁর জবাবি ভাষণে এই বিষয়টি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখার কথা বলেছেন।
পাশাপাশি, বিশেষ সমালোচনার ঝড় না-উঠলেও কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের কয়েক জন প্রতিনিধি সাম্প্রতিক সাধারণ ধর্মঘটে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বাংলায় কারও কারও কথায় মনে হয়েছে, ওই ধর্মঘট সফল করাতে দলই যেন উৎসাহী নয়। দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘট যে হেতু সব ক’টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ ভাবে ডেকেছিল, তাই ওই ঘটনায় বাকি সংগঠনগুলির কাছে সিটুকেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। তবে কেউই সরাসরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম করেননি। সিটুর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সম্মেলনে বলেছেন, ভবিষ্যতে ধর্মঘটের প্রচারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক স্তরে ঘাটতি দূর করতে হবে। |
|
|
|
|
|