|
|
|
|
জমি অধিগ্রহণে চাই রাজ্যের ভূমিকা, একমত কেন্দ্র-মোদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সংসদে জমি অধিগ্রহণ বিল পেশ করার আগে এ ব্যাপারে কাল সর্বদল বৈঠক ডেকেছে মনমোহন সিংহ সরকার। তার আগে আজ দিল্লি এসে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিলেন, শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে সরকারকে অবশ্যই সহযোগীর ভূমিকা নিতে হবে। এ নিয়ে সরকারের শীর্ষ সারির এক মন্ত্রী আজ বলেন, “কেন্দ্র যে জমি বিলের প্রস্তাব করেছে তার সঙ্গে মোদীর মতের বিশেষ ফারাক নেই।” তবু স্রেফ রাজনীতির কারণেই বিজেপি বিলটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে কি না, আগামী কালের বৈঠকেই তার আঁচ মিলবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। তৃণমূল অবশ্য এ দিনও মোদীর ঠিক উল্টো অবস্থানে অনড় থাকার কথাই জানিয়েছে।
মোদীর বক্তব্য, কেউ বলেন জমি অধিগ্রহণে সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত। কেউ তার বিরোধিতা করেন। কিন্তু এ সব রাজনীতির চাপানউতোর। আসল কথা হল, বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্যকে সহযোগীর ভূমিকা নিতেই হবে। গুজরাতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিল্প সংস্থাগুলিকে রাজ্যের এক্তিয়ারে থাকা জমি যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনই অধিগ্রহণ করেও জমি দেওয়া হয়েছে শিল্প সংস্থাকে। তা ছাড়া জমি নিয়ে শিল্প সংস্থাগুলি যখন কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে, তখন সেখানেও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা থেকেছেন। শুধু তাই নয়, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার সময় বেসরকারি শিল্প সংস্থা কী ভাবে তাদের প্রস্তাব দেবে, তা নিয়েও সরকারের তরফে বোঝানো হয়েছে। তবে একই সঙ্গে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখারও ব্যবস্থা করেছে গুজরাত সরকার।
জমি প্রশ্নে মোদীর ঠিক উল্টো অবস্থান নিয়ে চলছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনও জানান, তৃণমূলের জমি নীতি পাল্টায়নি। কাল সর্বদল বৈঠকেও বলা হবে, বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্যের কোনও ভূমিকা থাকা উচিত নয়। |
|
|
|
|
|