জেলা প্রশাসনের কাছে জমি হস্তান্তরের দেড় বছরের বেশি সময় চলে গেলেও বালিকা বিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় নাটাবাড়ি এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, অন্তত এক দশক থেকে তাঁরা বালিকা বিদ্যালয়ের দাবিতে সরব। কয়েক বছর আগে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা একজোট হয়ে শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন। অন্তত দেড় বছর আগে ওই বিদ্যালয় তৈরির জন্য নাটাবাড়ি হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের জমি জেলা প্রশাসনকে দেয়। শিক্ষা দফতরের কর্তারা এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে কাজ কিছু এগোয়নি। এমনকী কবে বালিকা বিদ্যালয়ের কাজ শুরু কবে হবে সে বিষয়ে আশ্বাস মেলেনি। সে জন্য বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়েছে।
নাটাবাড়ি শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শৈলেন বর্মা বলেছেন, “নাটাবাড়ির কাছে বালিকা বিদ্যালয় বলতে মহকুমা সদর তুফানগঞ্জ। দূরত্ব ১৮ কিমি। এ ছাড়াও এলাকার অন্তত ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বালিকা বিদ্যালয় নেই। সাড়ে ৫ বিঘা জমি স্কুল তৈরির জন্য প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি।” বাসিন্দারা জানান, নাটাবাড়ি-১ ও ২, চিলাখানা-১ ও ২, মারুগঞ্জ, নাককাটিগছ, দেওচড়াই, ধলপল-১ ও ২ নিয়ে অন্তত ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বালিকা বিদ্যালয় নেই। তার উপরে নাটাবাড়ি হাই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের চাপ বেড়েছে। আড়াই হাজারের বেশি পড়ুয়া স্কুলে রয়েছে। অর্ধেক ছাত্রী। নাটাবাড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির কর্তা রঞ্জিত সেন বলেন, “সমস্যার সমাধানের জন্য স্কুলের সাড়ে ৫ বিঘা জমি জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ কেন শুরু হচ্ছে না বুঝতে পারছি না।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তারা আন্তরিক না হওয়ায় এত দিনে স্কুলের অনুমোদন আসেনি। নাটাবাড়ির বিধায়ক রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেন, “ওই বালিকা বিদ্যালয় তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়েছে। অর্থ দফতরের ছাড়পত্রের জন্য ফাইল জমা পড়েছে। কাজ শুরুর চেষ্টা করছি।” বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেছেন, “ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
|
স্কুল তৈরিতে বাধা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
গরু, ছাগল চরাতে সমস্যা হবে বলে খাস জমিতে স্কুল তৈরিতে আপত্তি তুলে কাজে বাধা দিল বাসিন্দাদের একাংশ। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরে বংশীহারীর সরাইহাট এলাকার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বিডিও পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিডিও বনমালী রায় বলেন, “পুলিশকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” |