গরম পড়তেই দুটি মার্ক-টু নলকূপ অকেজো। পুকুরের ঘোলা জল ভরসা এখন। কাপড়ে ছেঁকে ওই নোংরা জল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। এ ছবি দক্ষিণ দিনাজপুরে তপন ব্লকের চন্ডীপুরের মামুদপুর গ্রামের।
জল স্তর ৭০ ফুট নেমে যাওয়ায় গ্রামে নলকূপগুলি অকেজো। তল্লাটে দুটি কুয়ো একটি মাত্র পুকুর রয়েছে। শুকিয়ে যাওয়া পুকুরের ঘোলা জল ব্যবহার করছে বাসিন্দারা। জলকষ্টে কাহিল এলাকার মানুষ ও গবাদি পশু। গরম বেড়ে চলায় জেলার তপন ব্লক জুড়ে এ ভাবে শুরু হয়েছে জল সঙ্কট। তার মধ্যে মামুদপুর মৌজা এলাকার রাঙামাটি, নাকরাকুড়ি, শিয়ালা কিংবা রামপুরের মতো কয়েকটি গ্রামে সমস্যা তীব্র। মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতে পাহাড়পুর, সন্ধ্যাপুকুর, ডাং মালঞ্চা, অর্জুনপুর, অভিরামপুর, হরিবংশীপুর, কাউলি সহ আশপাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে জলকষ্ট। |
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “এলাকার নলকূপ মেরামতের জন্য বিডিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খরা প্রবণ অঞ্চল বলে বেশি পরিচিত তপনে অগভীর নলকূপ কাজ করছে না। ওই কারণে সেচের কাজ বিপর্যস্ত। অন্তত দুশো পরিবারের বাস মামুদপুর এলাকায়। স্থানীয় বিভাস সরকার বলেন, “দুটি সরকারি নলকূপ দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো। জলের অভাবে চাষ আবাদ বন্ধ। গ্রামে কাজ নেই। জলের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে। পঞ্চায়েতে দরবার করে নলকূপ মেরামত হয়নি।” বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “দ্রত পিএইচই-র মাধ্যমে জল সরবরাহের জন্য চেষ্টা করা হবে। তা হলে সমস্যা মিটবে।” |
স্থানীয় গৃহবধূ পঞ্চমী সরকার বলেন, “বেলা বাড়তে কুয়োয় জল থাকে না। ভোর থেকে জলের লাইন পড়ে।” |
বৃষ্টির জন্য চাতকের মত আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রহর গুনছেন চাষিরা। স্থানীয় গৃহবধূ পঞ্চমী সরকার বলেন, “বেলা বাড়তে কুয়োয় জল থাকে না। ভোর থেকে লাইন পড়ে।” গৃহবধূ বিন্দু সরকার, পায়েল সরকার জানান, ভরসা পুকুরের জলই। গবাদি পশুর সঙ্গে স্নান কাপড় কাচা সবই ওই জলে চলছে। পেটের রোগ দেখা দিচ্ছে। মামুদপুরে জলের কষ্টের কথা স্বীকার করা হলেও নলকূপ মেরামত হয়নি। সিপিএম কর্মী লিটন এক্কা বলেন, “সমস্যা ব্লক প্রশাসনের বলেছি। তারা সেগুলি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।” পঞ্চায়েত সদস্য মাধবী বর্মন জানান, জলস্তর নেমে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নলকূপ সংস্কারের টাকা নেই। সবই পঞ্চায়েত সমিতিকে বলা হয়েছে। |