আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিকিৎসার খরচ। কী ভাবে তা সামলাবেন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ? ডায়াবেটিসের আর্থিক বোঝা সংক্রান্ত এক আলোচনাচক্রে রবিবার বড় হয়ে উঠল এই প্রশ্নই। উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট শুভঙ্কর চৌধুরী, দেবাশিস বসু প্রমুখ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ দেশের ৬.১৩ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সচেতনতাও বেড়েছে। তা সত্ত্বেও এ নিয়ে সামগ্রিক ভাবে তেমন ভাবনাচিন্তা এখনও তৈরি হয়নি। অভিরূপবাবু বলেন, “আমার স্ত্রী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। মাসে চিকিৎসা বাবদ কমপক্ষে ছ’হাজার টাকা খরচ হয়। আমরা দু’জনে চাকরি করি, তবু এই খরচটা যথেষ্ট বেশি মনে হয়। যাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ, তাঁরা তা হলে কী করবেন?”
একই প্রশ্ন চিকিৎসক দেবাশিস বসুরও। ডায়াবেটিসের শিকার এক তরুণীকে সামনে এনে তিনি বলেন, “এই মেয়েটি টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু চাকরি পাচ্ছিলেন না স্রেফ এই সমস্যাটার জন্য। সমাজ কী ভাবে ওঁর পাশে দাঁড়াবে?”
সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ তুলে চিকিৎসক শুভঙ্কর চৌধুরী বলেন, “আগে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসা বিমা করানো যেত না। এখন যায়, কিন্তু ২০ শতাংশ বেশি প্রিমিয়াম দিয়ে। প্রথম দু’বছর ডায়াবেটিস সংক্রান্ত অসুখে চিকিৎসার খরচ মেলে না। এটা কেন হবে? এগুলো নিয়ে আমাদের সকলের সোচ্চার হওয়া উচিত। না হলে ডায়াবেটিস রোগীর আর্থিক বোঝা কখনও কমবে না।” |