চিকিৎসক আছেন দু’জন। প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন রোগী ভিড় করেন। কিন্তু প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধ মেলে না। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের আয়ুর্বেদ বিভাগের ছবি। এই অবস্থায় রোগীদের বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের এক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের এমন দশা নিয়ে শহরের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দাবি উঠেছে দ্রুত ওষুধ সরবরাহের। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, “হাসপাতালের আয়ুর্বেদ বিভাগে ওষুধের সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দ্রুত কথা বলব।” মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, “আয়ুর্বেদ বিভাগে ওষুধ পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ওঁরা বলেছেন কলাকাতায় গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসতে হবে। বিষয়টি আমি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে কথা বলে কাজ চালানোর মত ওষুধ স্থানীয় ভাবে ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখছি।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালে ওই আয়ুর্বেদ বিভাগ চালু হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখানে ওষুধ পৌঁছয়নি। রোগীদের প্রশ্ন হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখানোর পরে কেন বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হবে? চিকিৎসকরা ওই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি। আয়ুর্বেদ বিভাগে প্রতিদিন ১৫ জন রোগী ভিড় করেন। প্রত্যেকে ওষুধ না পেয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এক রোগী বলেন, ওষুধ থাকলে বিনে পায়সায় পাওয়া যেত। এখন চড়া দামে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। চিকিৎসক অম্লান পারিহার বলেছেন, “রোগীরা ওষুধের খোঁজ নেয়। হাসপাতাল সুপারকে সব সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।” |