প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ঘুরে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বড়মা বীণাপানি দেবীর আশীর্বাদ নিতে হাজির হলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রবিবার বনগাঁর দুই বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং সুরজিৎ বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বড়মাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পাঠিয়েছেন।” বড়মা বলেন, “মমতা আমাদের জন্যে অনেক কিছু করেছে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা, ও ভাল থাকুক।” |
প্রদীপবাবুর পরেই জ্যোতিপ্রিয়বাবুর আসা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, তৃণমূল যে মতুয়াদের পাশেই আছে, সেই বার্তা দিতেই ছুটে আসা খাদ্যমন্ত্রীর। যদিও খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বড়মার কাছে আশীর্বাদ নিতে আমরা নিয়মিত আসি। এটা নতুন বিষয় নয়। ঠাকুরবাড়ির পরিকাঠামো এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়ন আগেও করেছেন, এখনও করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে মতুয়া ধর্মমহামেলা। লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসতে শুরু করেছেন ঠাকুরবাড়িতে। ঠাকুরবাড়ির কামনাসাগরে শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। চলবে আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত। প্রতিবছর মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই ধর্মমেলা শুরু হয়।
রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে এবার গাইঘাটা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেলা উপলক্ষে তোরণ লাগানো হয়েছে। মেলায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জনস্ব্যাস্থা কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ পাউচ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, জেনারেটর ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |