|
|
|
|
খোঁজ মিলল কোয়ম্বত্তূরে |
ধরা পড়ল শিলদা-কাণ্ডের আসামি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম ও কলকাতা |
শিলদায় ইএফআর শিবিরে হামলা এবং জঙ্গলমহলের আরও কয়েকটি হামলা ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত ঝাড়গ্রামের এক মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য তামিলনাড়ুতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
ঝাড়গ্রাম পুলিশের একটি বিশেষ দল শনিবার রাতে কোয়ম্বত্তূরের পিলামেডু এলাকা থেকে শ্যামাচরণ টুডু ওরফে অভিকে গ্রেফতার করে। ‘ফেরার’ শ্যামাচরণ পিলামেডুর একটি কারখানায় মাস ছয়েক ধরে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে ঝাড়গ্রাম পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যে মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের অন্যতম জয়ন্ত ওরফে সাহেবরাম মুর্মুর স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই অভি। বছর ছাব্বিশের শ্যামচরণের বাড়ি ঝাড়গ্রামের আঁধারিশোল গ্রামে। সম্প্রতি তাঁর ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে কোয়ম্বত্তূরে পৌঁছায় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের একটি দল। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। রবিবার কোয়ম্বত্তূর সিজেএম আদালতে ধৃতকে হাজির করে ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ চায় পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর করে ধৃতকে ১১ এপ্রিলের মধ্যে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক। শিলদা ছাড়াও শ্যামচরণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও খুনের ছ’টি মামলায় আগেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ঝাড়গ্রাম আদালত। পুলিশের একাংশের সন্দেহ, দক্ষিণ ভারতে মাওবাদীদের কোনও নেতার সহযোগিতায় শ্যামাচরণ কোয়ম্বত্তূরের ওই কারখানায় কাজ পেয়েছিলেন। এই দিকটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
২০১০ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৪ জন জওয়ান। তদন্তে নেমে সিআইডি ২৮ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছিল। সঙ্গে ঘটনায় জড়িত আরও ৬৩ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সিআইডি সূত্রের খবর, এই ৬৩ জনের সম্পর্কে কিছু তথ্য অস্পষ্ট থাকায় তাঁদের নাম চার্জশিটে রাখা হয়নি। এই তালিকায় শ্যামচরণ টুডুর নাম না থাকলেও ‘অভি সিনিয়র’ ও ‘অভি জুনিয়র’ এই দু’টি নাম ছিল। শিলদা-কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে সিআইডি-র হাতে। তদন্তকারীদের ধারণা, শ্যামাচরণই সম্ভবত এই ‘অভি জুনিয়র’। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল ২৩ বছর। সিআইডি-র বক্তব্য, শিলদা-কাণ্ডে ধৃত অন্তত চার জনের জবানবন্দি থেকে জানা গিয়েছে, অভি জুনিয়র ও অভি সিনিয়র হামলায় দু’জনই দলে ছিল। পুলিশের আশা, শ্যামাচরণকে জেরা করে মাওবাদী নেতা জয়ন্তর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে জঙ্গলমহলের ফেরার মাওবাদীদের আর কেউ দক্ষিণ ভারতে রয়েছেন কি না, সে ব্যাপারেও সূত্র মিলতে পারে।
শ্যামাচরণকে নিয়ে শিলদা-কাণ্ডে ধৃতদের সংখ্যা দাঁড়াল ২১। এঁদের দু’জন নাবালক। শ্যামাচরণের আগে শিলদা-কাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে শেষ গ্রেফতার হন মাওবাদীদের নয়াগ্রাম-গোপীবল্লভপুরের এরিয়া কম্যান্ডার রঞ্জন মুন্ডা। শিলদা-কাণ্ডে অন্য ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুদীপ চোঙদার, অনু মাইতি, কাজল মাহাতো, শুকলাল মাহাতো, লোচন সিংহ সর্দার প্রমুখ।
|
পুরনো খবর: শিলদা ক্যাম্পে হানা, নিহত ২১ জওয়ান |
|
|
|
|
|