গেইল বনাম স্টেইন ছিল ম্যাচের ইউএসপি। সেই লড়াইটা হল, তবে নাটকের একেবারে শেষ অঙ্কে। সুপার ওভারে।
যেখানে অবশ্য স্টেইন বল শুরু করার আগেই অ্যাডভান্টেজ সানরাইজার্স হয়ে গিয়েছিল। কারণ সুপার ওভারে প্রথম ব্যাট করতে নেমে দুটো ছক্কা-সহ সানরাইজার্সের রান কুড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন ক্যামেরন হোয়াইট। প্রথম চারটে বলে গেইল আর কোহলিকে বিগ শট মারতে না দিয়ে ম্যাচ ধরে নেন স্টেইন। গেইল ছক্কা একটা মারলেন ঠিকই, তবে সেটা পঞ্চম বলে। তত ক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গিয়েছে। বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ১৫-র বেশি করতে পারেনি। এমনিতে পেপসি আইপিএলে রবিবারটা ছিল আন্ডারডগদের। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে হারল পুণে ওয়ারিয়র্স। আর বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে টানা দুটো জয় পেয়ে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দুটো ম্যাচেই নায়ক বোলাররা। |
পঞ্জাবের ম্যাচে চেনা মেজাজে প্রীতি জিন্টা যেন চিয়ারলিডারই। পুণেতে। ছবি: পিটিআই |
বেঙ্গালুরুকে ১৩০ রানে আটকে রেখেছিলেন সানরাইজার্সের বোলাররা। এর পর শেষ বলে সঙ্গকারাদের জিততে দরকার ছিল ২। কিন্তু এক ওঠায় ম্যাচ সুপার ওভারে চলে যায়। পঞ্জাব ম্যাচে আবার প্রবীণ কুমার, আজহার মাহমুদরা ৯৯ রানে থামিয়ে দেন পুণেকে। দেখা যাচ্ছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলেও পুণের ভাগ্য বদলাচ্ছে না। পিঠের যন্ত্রণার জন্য যুবরাজ সিংহ এ দিন খেলেননি। পুণের ব্যাটিংয়েও সামান্যতম ঝাঁঝ ছিল না।
রান তাড়া করতে নেমে আবার শুরু হয় মনন ভোরার ঝোড়ো ব্যাটিং। অধিনায়ক গিলক্রিস্ট (১৫) আউট হয়ে গেলেও মনদীপ সিংহ (৩১)-ভোরা (৪৩ ন.আ.) কাজটা করে দেন। পুণে ৯৯-৯। কিংস ইলেভেন ১০০-২।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ১৩০-৮। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৩০-৭। সানরাইজার্স জয়ী সুপার ওভারে।
|
|