|
|
|
|
ফাঁসির আগেই খবর পাক পরিবার, চায় সুপ্রিম কোর্ট |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগেই আসামির পরিবারের খবর পাওয়া উচিত। আফজল গুরুর পরিবারের মতো অবস্থা আর কারও হওয়া উচিত নয়। আট আসামির মৃত্যুদণ্ডে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময়ে এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত সপ্তাহে ওই আট জনের ক্ষমাভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সংসদ হামলায় মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আফজল গুরুর আর্জি খারিজ হওয়ার পরেই দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হয় তাঁকে। জম্মু-কাশ্মীরে আফজলের পরিবারকে ঠিক সময়ে খবর দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্র দাবি করলেও সে খবর তাঁদের হাতে পৌঁছয় দু’দিন পরে।
যে আট আসামির আর্জি গত সপ্তাহে খারিজ হয়েছে তাঁদেরও দ্রুত ফাঁসি হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে আর্জি জানান তাঁদের পরিবার ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি সদাশিবমের বাড়িতে এক জরুরি শুনানিতে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আফজল গুরুর নাম না করলেও বেঞ্চ বলেছে, “জম্মু-কাশ্মীরের মতো পরিস্থিতি না হওয়াই উচিত। ওই আসামির পরিবার ফাঁসির পরে খবর পেয়েছিলেন। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে শেষ বার দেখা করার সুযোগও পাননি তাঁরা।” আজ একটি অনুষ্ঠানে বেঞ্চের মতকে সমর্থন করেছেন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরও।
সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে দেরি হওয়ায় সাজা মকুবের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের চার সঙ্গী। তাদের ক্ষমাভিক্ষার আর্জি রাষ্ট্রপতি খারিজ করলেও এখনই ফাঁসির আদেশ কার্যকরের সম্ভাবনা নেই। বিচারপতি সদাশিবমের বাড়িতে আট আসামির জন্য একই আর্জি জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির আইনজীবী। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জেলে রয়েছে ওই আট আসামি। তাই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। |
|
|
|
|
|