এসএসকেএম
পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে চম্পট দিল বন্দি
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতালের বাথরুম থেকে চম্পট দিল চিকিৎসাধীন এক বন্দি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের অর্থোপেডিক বিভাগে। ওই আসামির নাম শেখ শাহাজাদা ওরফে জগ্গা। দিন তিনেক আগে চিকিৎসার জন্য প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় তাকে। পুলিশের সন্দেহ, শাহাজাদার পাহারায় থাকা দুই পুলিশকর্মীর গাফিলতিতেই সে পালিয়েছে।
কয়েক বছর আগে একটি ডাকাতির মামলায় একবালপুর থেকে ধরা পড়ে জগ্গা। ডাকাতি ছাড়াও তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন দুষ্কর্মের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। একটি মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে জগ্গা। পায়ে গুরুতর চোটের কারণে জেলের ডাক্তারদের পরামর্শেই দিন তিনেক আগে তাকে এসএসকেমে ভর্তি করানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। কতর্ব্যরত দুই কনস্টেবল প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য ও দেবব্রত সিংহের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন,“ওই দুই কনস্টেবলের কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চোখ এড়িয়ে: পিজি-র উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে শৌচাগারের জানলা ভেঙে পালাল বন্দি।
পুলিশ সূত্রের খবর, এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের বেসমেন্টে ৪২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন শাহাজাদার পাহারার দায়িত্ব ছিল কলকাতা পুলিশের ওই দুই কনস্টেবলের উপরে। পুলিশের দাবি, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ শাহাজাদা তাঁদের বলে, সে বাথরুমে যাবে। কনস্টেবল দেবব্রত সিংহ তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। প্রসেনজিৎবাবু তখন ওয়ার্ডেই ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় শাহাজাদা। কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে পুলিশ ভিতরে ঢোকে। ততক্ষণে বাথরুমের জানলার গ্রিল ভেঙে চম্পট দিয়েছে শাহাজাদা। পুলিশের অনুমান, জানলার গ্রিল আগে থেকেই কিছুটা ভাঙা ছিল। সেই সুযোগেই শাহাজাদা পালিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই অভিযোগ মানতে চাননি। মাস ছয়েক আগে বর্ধমানে জেলকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিল রেণু হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানি। পরে চেন্নাই থেকে সে ফের পুলিশের জালে ধরা পড়ে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.