দ্রুত নামছে জলস্তর। বিকল হচ্ছে নলকূপ। খালবিল শুকিয়ে কাঠ। গরমের শুরুতে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এ ভাবে শুরু হয়েছে জলকষ্ট। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব নলকূপ এখনও সচল সেখান দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত জল বার হচ্ছে। বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ওই জল ব্যবহার করছে।
কংগ্রেস পরিচালিত বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনসুর আলি বলেন, “জলস্তর নেমে যাওয়ায় গোটা পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে জলের সঙ্কট বেড়েছে। সমস্যার কথা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার বলেন, “শুধু বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত নয়। জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নলবাহিত পানীয় জলের পরিকাঠামো গড়তে একবছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আপাতত পঞ্চায়েত এলাকার বিকল নলকূপগুলি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি সংসদে প্রায় ৬ হাজার পরিবারের বসবাস। প্রায় ২৫ শতাংশ পরিবার বিপিএল তালিকাভূক্ত। মোট বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। ৯০ শতাংশ পরিবারের পেশা কৃষিক ও দিনমজুরি। প্রায় এক হাজার পরিবারের নিজস্ব নলকূপ নেই। ওই পরিবারের সদস্যরা সরকারি নলকূপের জলের উপরে নির্ভরশীল। পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০০ সরকারি নলকূপ রয়েছে। জলস্তর নেমে যাওয়ায় গত দুসপ্তাহ ধরে তার মধ্যে ১২০টি বিকল। বাকি নলকূপগুলি দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত জল বার হচ্ছে। প্রায় দেড়শোটি পরিবারের নিজস্ব নলকূপ বিকল। বিন্দোল সংসদের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, “বাসিন্দারা নোংরা জল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। পেটের রোগ ছড়াচ্ছে।” পেশায় চাষি পঞ্চায়েতের বালিয়া সংসদের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম এবং কয়লাডাঙ্গি সংসদের বাসিন্দা রিজওয়ানুর আলি চলতি মরশুমে কয়েক বিঘা জমিতে বোরো ধান ও ভুট্টা চাষ করেছেন। তাঁরা বলেন, “জলস্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পসেট দিয়ে জল মিলছে না। বৃষ্টি না হলে চাষে ক্ষতি হবে।” |