|
|
|
|
|
|
|
সাজগোজ... |
|
মুসুম্বির রস চন্দনবাটা, প্যানকেক |
গরমেও সুন্দর থাকা যায়। উপায় জানাচ্ছেন সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা। শুনলেন সংযুক্তা বসু |
এ দেশে বসন্ত মানেই গ্রীষ্ম। গ্রীষ্ম শুরু হলেই সাজগোজ নিয়ে ঝকমারি। ঘাম প্যাচপ্যাচে শরীর। মুখে র্যাশ বা ব্রণ। কী মেক আপ লাগানো যায়, কেমন ভাবে সাজা যায়, এ সব নিয়ে যেন সমস্যার শেষ নেই। একটু ওয়াকিবহাল থাকলেই কিন্তু মুশকিল আসান।
মেক আপের আগে চাই ত্বকের যত্ন। এবং সেটাও খুব চটজলদি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ত্বকচর্চা করার সময় ক’জনেরই বা আছে। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা তাই ত্বকের যত্নের এমন কিছু পরামর্শ দিলেন, যার জন্য সময় লাগবে খুব কম।
• গরমকালে যাঁদের খুব ঘাম হয়, এবং বারবার রুমালে মুখ মোছেন তাঁদের মুখের শ্রী খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ঘামের পরিমাণ কমাতে ওটমিল ভেজানো আর পুদিনা পাতা দিয়ে লেই বানিয়ে মুখে এবং সারা গায়ে মিনিট পনেরো লাগিয়ে স্নান করে ফেলুন। এতে ঘাম হওয়া এবং মুখে র্যাশ বেরোনো কমবে।
• যাঁরা অফিসে যান তাঁরা খুব সহজেই এক ধরনের স্ক্রাবিং করতে পারেন। দুধে পাউরুটি চটকে লেই বানিয়ে তাতে মুসুম্বির রস মিশিয়ে মুখে ও শরীরের খোলা জায়গাগুলোতে লাগিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। প্রত্যেক দিন এই স্ক্রাব করলে গরমেও ত্বকের জেল্লা ধরা থাকবে। খুব দ্রুত স্ক্রাব তৈরি করা যেতে পারে দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে। |
|
• সন্ধেবেলা বিয়েবাড়ি বা পার্টিতে যাওয়ার থাকলে তরমুজের রস আর দুধ মিশিয়ে মুখে মিনিট দশেক লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে মুহূর্তে ত্বক পালিশ হয়ে যাবে। মুছে যাবে সারা দিনের ক্লান্তি।
• ত্বক ব্রণপ্রবণ হলে চন্দনবাটার সঙ্গে পুদিনার রস মিশিয়ে লাগালে গরমে ব্রণ খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়।
• ঘামাচি সারাতে ফিটকিরির গুঁড়ো জলে দিয়ে স্নান করুন।
• গরমে আর ঘামে ত্বক শিথিল হয়ে যায়। জলের সঙ্গে টোনার মিশিয়ে সারা গায়ে লাগিয়ে নিলে সমস্যা কমবে।
• চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু তো করতেই হবে। শ্যাম্পু করার পর জলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে স্নিগ্ধ সুগন্ধ সারাদিন চুলে ছড়িয়ে থাকবে।
ত্বক আর চুলের এই সব ‘বেসিক’ যত্নের পর স্বাভাবিক ভাবেই আসে মেক আপের প্রশ্ন। অনেকেই গরমকালে মেক আপ করে বিভ্রাটে পড়েন। রোদে আর গরমে মুখের মেক আপ গলতে যে বেশি সময় লাগে না। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ দিচ্ছেন তাঁর পরামর্শ।
• সকালে কাজে বেরোতে হলে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তার ওপর হালকা কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নেবেন।
• যাঁরা সারা দিন এসিতে থাকেন, এসি গাড়িতে চড়েন এবং বাইরে বেরোবার খুব একটা দরকার পড়ে না, তাঁরা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করে হালকা ভাবে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে কমপ্যাক্ট লাগাতে পারেন। হাতের চেটো এবং পায়েও ময়শ্চারাইজার লাগাবেন। এত শুষ্ক ভাব কমে। এসিতে ত্বকে এক ধরনের শুষ্ক ভাব হয়।
• অল্প প্রসাধনে যাঁরা বিয়েবাড়িতে বা পার্টিতে যেতে চান তাঁরা প্যানস্টিক ব্যবহার করে ফেস পাউডার দিতে পারেন।
• যাঁরা অনেক ক্ষণের জন্য পার্টি বা বিয়েবাড়িতে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যেতে চান তাঁদের দরকার স্থায়ী মেক আপ। এর জন্য প্যানকেক-প্যানস্টিক লাগিয়ে ট্রান্সলুশন পাউডার লাগাতে পারেন।
• সব সময় ত্বকের রংয়ের চেয়ে এক পোচ হালকা রঙের মেক আপ ব্যবহার করবেন।
•
কাজল, আইলাইনার, মাসকারা যাই লাগান অসুবিধে নেই, কিন্তু আই শ্যাডোতে মেটালিক রং ব্যবহার করবেন না। গোলাপি বা হালকা ব্রাউন আইশ্যাডো গরমে কোমল দেখায়।
• ডিপ করে পিঠ কাটা, লটকন লাগানো ব্লাউজ আজকাল খুবই চলছে। কোনও অনুষ্ঠানে এই ধরনের ব্লাউজ পরতে হলে স্ক্রাবিং তো অবশ্যই করবেন। তার পর প্যানকেক জলে গুলে স্পঞ্জে ভিজিয়ে সারা পিঠে এবং দেহের খোলা অংশে বুলিয়ে নিন। বাদ পড়বে না হাত, গলা, ঘাড়, কানের পাশ। গরম বলে মেক আপ না লাগিয়ে বেরোবেন না।
•
মেক আপ গলে যাওয়ার ভয় থাকলে মুখে আগে ফিক্সার লাগিয়ে নিয়ে মেক আপ করুন। গরম কালে ফিক্সার খুব ভাল কাজে দেয়। |
|
|
|
|
|