|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে... |
|
কম বয়সে ঘন ঘন
গর্ভপাত
না হওয়াই ভাল
জলপাইগুড়িতেও এই সমস্যা বাড়ছে। উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ির স্ত্রীরোগ
বিশেষজ্ঞ ডা. রবীন্দ্রনাথ হালদার। কথা বললেন বিপ্লবকুমার ঘোষ। |
|
|
কম বয়সে ঘন ঘন গর্ভপাতের সংখ্যা এখন জলপাইগুড়িতেও বাড়ছে। কমবয়সিদের মধ্যে একাধিক গর্ভপাত পরবর্তী জীবনে যথেষ্ট সমস্যা ডেকে আনছে। যৌন জীবন নিয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকাতেই এই সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। সাবধান থাকতে হবে অভিভাবকদেরও। ঘন ঘন গর্ভপাতে সেপটিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। অবশ্য আরও অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে বড় কারণ অ্যানিমিয়া। এখন তো হাতের কাছে যে কোনও ওষুধের দোকানে গর্ভনিরোধক ওষুধ পাওয়া যায়। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন না করেও যে কেউ দোকানে গিয়ে নিজেরাই ওষুধ কিনছেন এবং খাচ্ছেন। বিপদের
পরেও আরও অনেক বিপদ অপেক্ষা করে থাকে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি অ্যাবরশনের জন্য বাজার থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে কী মারাত্মক সব বিপদে পড়েছেন অনেকে। এমনও হয়েছে একটানা ব্লিডিং চলছে, থামার কোনও লক্ষণ নেই। এভাবেই চলতে চলতে অ্যানিমিয়ার শেষ ধাপে এসে প্রাণ যখন যায়-যায়, তখন চিকিৎসকদের কাছে এসে বলেন, আমাকে বাঁচান।
নানা কারণে কোনও কোনও মহিলাকে একাধিক বার গর্ভপাত করাতে হয়েছে বা হয়। কিন্তু সেটা চারের বেশি হয়ে গেলেই পরবর্তী কালে স্বাভাবিক সন্তান আসাতে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই জেলা শহরে এখন প্রচুর মহিলা সরাসরি চিকিৎসকদের কাছে আসছেন এবং তাঁদের সমস্যা বলছেন। আগে যে লজ্জা এবং সংকোচ কাজ করত, এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে রোগ লুকিয়ে রাখার যে বিপদ আগে দেখা দিত, এখন সেই বিপদ বা প্রাণহানি অনেক কমে গিয়েছে। আগে অনেকে কুসংস্কারও বিশ্বাস করতেন। ঘন ঘন পিরিয়ড হওয়া বা না হওয়া বা অতিরিক্ত হওয়া এ সবের জন্য কেউ কেউ শিকড়বাকড় বা তাবিজ-কবচ পরতেন। সমাধান তো দূরের কথা, অজ গাঁয়ে অনেকেরই প্রাণ চলে যেত একটু চিকিৎসার অভাবে। সরকারি প্রচারের দৌলতে এবং গ্রামাঞ্চলেও টিভির সম্প্রসারণে চিকিৎসা নিয়ে মানুষ এখন সচেতন। যেমন ধরুন না, চা বাগানের মহিলা শ্রমিকরা ভীষণ অ্যানিমিয়ায় ভুগতেন। এখন প্রায় নেইই।
আসলে অসুখ হলেই চিকিৎসা প্রয়োজন- এই মানসিকতা যে অনেকের মধ্যেই এসেছে এটাই সুলক্ষণ। কী রোগী কী চিকিৎসক-উভয়েরই।
|
যোগাযোগ- ৯৪৩৪০২৩৬২৮ |
ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|