|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
অদেখা ছবিতে সুচিত্রা |
আশিস পাঠক |
|
উপরের ছবিটি এতকাল আড়ালে ছিল। এটি এবং আরও সাতটি। ছবির মানুষটি, আজ যাঁর জন্মদিন, তিনিও প্রায় তিন দশক স্বেচ্ছা-অন্তরালে। সেই অন্তরালই এই কয়েক বছরে জন্ম দিয়েছে বেশ কয়েকটি সুচিত্রা-কথার। সেগুলির একটিও তাঁর নিজের লেখা নয়, তাঁকে ঘিরে, তাঁকে নিয়ে নানা কথা, কখনও সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে, কখনও বা নেহাতই জল্পনামূলক।
সেই তালিকায় আজও সবচেয়ে উজ্জ্বল সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায়ের সুচিত্রার কথা (আনন্দ)। সে বই, ঘোষিত ভাবেই, সুচিত্রার জীবনী নয়, তাঁর সেই অন্তরাল-জীবনের এক অন্তরঙ্গ আলাপ। হিমাংশু চট্টোপাধ্যায়ের টলিউডের গ্রেটা গার্বো সুচিত্রা সেন (উর্বী), সুমন গুপ্তের যে জন আছেন নির্জনে (সাহিত্যম)-ও মুখ্যত সেই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা। কিন্তু ১৯৫৩-য় ‘সাত নম্বর কয়েদী’ থেকে ১৯৭৮-এ ‘প্রণয় পাশা’ পর্যন্ত সুচিত্রার যে অভিনয়-জীবন, বাঙালির ইতিহাসে তার বিশেষ স্থানটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু হয়নি।
মূল্যায়ন না হলেও সমসাময়িকদের কলমে ছড়িয়ে থাকা সুচিত্রা সেনকে একত্র করে একটি সংকলনের কাজ এখন শেষের পথে। দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় অভীক চট্টোপাধ্যায় জড়ো করেছেন সুচিত্রাকে নিয়ে উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, দেবকীকুমার বসু, অজয় কর, বিভূতি লাহা, পার্থপ্রতিম চৌধুরী, অমিতাভ চৌধুরী, গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের লেখা, প্রণব রায়ের ডায়েরি থেকে সুচিত্রা-র জীবনীমূলক ছবির অপ্রকাশিত খসড়া। পাহাড়ী রায়চৌধুরীর তোলা সুচিত্রার ৮টি অপ্রকাশিত আলোকচিত্রও (সঙ্গে তারই দু’টি) থাকছে প্রকাশিতব্য সেই সুচিত্রা সেন (সপ্তর্ষি প্রকাশন)-এ।
এমন উদ্যোগ একটা আশার জন্ম দেয়। একদিন হয়তো মূল্যায়ন হবে সেই বিজয়িনীর, যিনি বলতে পারেন, ‘সুচিত্রা সেন ওন দ্য বেস্ট অ্যাকট্রেস অ্যাওয়ার্ড ফর দ্য থার্ড ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, মস্কো।’ |
|
|
|
|
|