|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
উৎসের পরিবর্তে উৎসর্গে |
বইপোকা |
উৎসে নয়, উৎসর্গে কিংবা অন্তর্ভাষিক অনুবাদ। বাংলা অ্যাকাডেমিক গবেষণার রঙ্গমঞ্চে যে কুনাট্যের খণ্ড খণ্ড অভিনয় হইয়া চলিয়াছে তাহার শিরোনাম এমনই হইতে পারে। পূর্ববর্তী বিখ্যাত গ্রন্থ হইতে আত্মসাৎ করিয়া এক্ষণে দিব্য পিএইচ ডি গবেষণার পরিবর্ধিত রূপ প্রকাশিত হইয়া চলিয়াছে। পুলিশ দিয়াও রাজ্যে গণটোকাটুকি বন্ধ করা যাইতেছে না, এই আক্ষেপ সর্বত্র শ্রুত হইলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ব্যক্তির নিরবচ্ছিন্ন টোকাটুকি লইয়া কাহারও মাথাব্যথা নাই। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা-সাহিত্যের শিক্ষক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের বাংলা গ্রুপ থিয়েটার: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি (রত্নাবলী, ২০১১) এবং বাংলা নাটক: দেশ কাল ধর্ম (রত্নাবলী) গ্রন্থে শঙ্খ ঘোষ, পবিত্র সরকার, দর্শন চৌধুরীর গ্রন্থ হইতে অবিকল অথবা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত অনুকরণ। অরিন্দম লিখিতেছেন, ‘গণনাট্যের ভাঙনের পর পঞ্চাশের দশকের শেষ থেকেই স্পষ্টাকারে বাংলা নাট্যাভিনয়ের তিনটি ধারা তৈরী হয়ে গেল।’ দর্শন চৌধুরী তাঁহার গণনাট্য আন্দোলন (অনুষ্টুপ, ১৯৮২) গ্রন্থে লিখিয়াছিলেন, ‘পঞ্চাশের দশকের শেষ দিক থেকেই বাংলা নাট্যাভিনয়ের তিনটি অতি স্পষ্ট ধারা তৈরী হল।’ ইহার পরে দর্শনবাবু যে ভাষায়, যে ভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করিয়াছিলেন, অরিন্দমবাবুর গ্রন্থেও তাহাই। অথচ তাহার টীকা, সূত্রনির্দেশ বা গ্রন্থপঞ্জিতে দর্শনবাবুর নামটি পর্যন্ত মিলিল না। বাংলা নাটকে জাতীয় সংহতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়) গ্রন্থেও জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়ের শিল্প নিয়ে সাহিত্য নিয়ে (দে’জ) গ্রন্থের ভাবনার অনুকরণ। বইটির নাম উৎস হিসাবেই স্বীকৃত হয় নাই। অবশ্য, দ্বিতীয় বইটির উৎসর্গে জ্যোতিপ্রকাশ আছেন। |
|
|
|
|
|