ধর্মতলায় আইন-অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের। সেই কর্মসূচিতেই যাওয়ার জন্য বুধবার ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজের ছাত্র, ওই সংগঠনেরই সমর্থক সুজয় দাসকে মারধর এবং ‘সুদীপ্তর মতো অবস্থা’ করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) চার কর্মীর বিরুদ্ধে। টিএমসিপি অভিযোগ না মানলেও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার মেনে নিয়েছেন, সে দিন সংগঠনের কয়েক জনের সঙ্গে সুজয়ের তর্ক থেকে হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতির কথা রাজ্যপালকে জানানোর আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
বৃহস্পতিবার রাতে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবার থানায় সুজয়কে মারধরের ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়। দু’দিন ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে শুক্রবার সুলতানপুর গ্রামে বাড়ি ফেরেন সুজয়। তাঁর ঠোঁটে আঘাত লেগেছে। এ দিন তাঁকে দেখতে আসেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সুজয় তাঁকে বলেন, “মঙ্গলবার ধর্মতলার কর্মসূচিতে যে আমি যোগ দিয়েছিলাম, সে কথা জানতে পেরে পরের দিন কলেজের টিএমসিপি-র কয়েক জন আমাকে মারে। বলে, সিপিএমের কর্মসূচিতে গেলে সুদীপ্ত গুপ্তের মতো অবস্থা হবে। আচমকা মারের চোটে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।” পরে, একই কথা সংবাদমাধ্যমের কাছেও বলেন সুজয়। তাঁকে দেখে বেরনোর সময়ে সূর্যকান্তবাবু বলেন, “আন্দোলনে যাওয়া যাবে না। গেলেই হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে আবার সুদীপ্ত বানানো হবে। এ রকম যারা করছে, তাদের বার্তা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাব।” |