|
|
|
|
পুরনো মামলায় ঝাড়গ্রামে ধৃত সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পুরনো একটি খুনের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম (গ্রামীণ) লোকাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের একটি পুরনো মামলায় অভিযুক্ত করে শুক্রবার কালীপদবাবুকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক প্রিয়জিত্ চট্টোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ষাট বছরের কালীপদবাবু দু’মাস আগে সরকারি গ্রন্থাগারিকের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন।
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া অঞ্চলের কিসমত জামবেদিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেসরকারি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট গিরিশ সহিস জমিতে সেচের জল দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিপূর্বে চারজন সিপিএম কর্মী গ্রেফতার হন। পরে চারজনই জামিন পেয়ে যান। এ দিন আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই খুনের ঘটনায় কালিপদবাবু সক্রিয়ভাবে জড়িত। অভিযুক্তের আইনজীবী অশ্বিনী মণ্ডল আদালতে প্রশ্ন তোলেন, গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর খুনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। অথচ নিহতের স্ত্রী দীপালি সহিস লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ২৯ সেপ্টেম্বর। দীপালিদেবীর অভিযোগপত্রে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ছিল না। ইতিপূর্বে যে চারজন গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁদের জেরা করে কালিপদবাবুর নাম পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলবন্দি করে রাখার জন্যই কালীপদবাবুকে খুনের মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অশ্বিনীবাবু। ইতিপূর্বে ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি অঞ্চলে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানোর একটি ঘটনায় কালীপদবাবুকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই মামলায় অবশ্য জেলা আদালত থেকে আগাম জামিন পান কালীপদবাবু। |
|
|
|
|
|