|
|
|
|
অভিযুক্তেরা অধরাই |
শ্লীলতাহানির এক মাস পরে নিগৃহীতার জবানবন্দি কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিনপুরের মাগুরা ও আঁকরো গ্রামের দুই আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযোগকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা জলধর পণ্ডার প্রাক্তন দেহরক্ষী চুনারাম মুর্মুও এ দিন আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন। শুক্রবার দুপুরে পৃথক পৃথক ভাবে তিন জনের গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন ঝাড়গ্রামের জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট সুপর্ণা রায়। গত ৩ মার্চ মাগুরা ও আঁকরো গ্রামে ঝাড়খণ্ড পার্টির দুই নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিনপুর-১ যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি জলধরবাবু ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। দুই ঝাড়খণ্ডী নেতা-কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁদের পরিবারের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই দিনই বিনপুর থানায় দুই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেন ওই মহিলারা। আদিবাসী সংগঠনের সামাজিক নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানানো হয়। এরপরই তড়িঘড়ি যুব তৃণমূল নেতা জলধরবাবুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কর্মীকে প্রত্যাহার করে নেয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। গত ৮ মার্চ বিনপুর থানায় আদিবাসী নিগ্রহ-প্রতিরোধ আইন-সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়। তদন্ত ভার দেওয়া হয় এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) সন্তোষকুমার মণ্ডলকে। এ দিকে প্রায় এক মাস পরে এ দিন নিগৃহীত এক মহিলা-সহ তিন জনকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের আবেদনক্রমে দুই আদিবাসী মহিলা ও জলধরবাবুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করানো হয়। অভিযুক্তদের কাউকেই অবশ্য গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা এখনও ফেরার। অন্য দিকে জলধরবাবু-সহ অন্য অভিযুক্তরা আগাম জামিনের জন্য জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার কটাক্ষ, “জলধরবাবু-সহ অভিযুক্তেরা প্রকাশ্যে এলাকায় মিটিং-মিছিল করছেন। অথচ পুলিশ তাঁদের দেখতে পাচ্ছে না।” নিগৃহীতা দুই আদিবাসী মহিলার আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, “অভিযুক্তেদের আগাম জামিনের বিরুদ্ধে আমরা আগামী ৮ এপ্রিল মেদিনীপুর জেলা জজ আদালতে আপত্তি দাখিল করব।” |
|
|
|
|
|