দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
গড়িয়া-ব্রহ্মপুর রোড
অবশেষে সম্প্রসারণ
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে গড়িয়া-ব্রহ্মপুর রোডের সম্প্রসারণের কাজ সারল পূর্ত দফতর। যদিও অভিযোগ উঠেছে, রাস্তার দু’পাশে দখলদারির জন্য রাস্তার সব জায়গায় ঠিকমতো সম্প্রসারণের কাজ করতে পারেনি পূর্ত দফতর।
কলকাতা পুরসভার ১১১ এবং ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে গিয়েছে গড়িয়া-ব্রহ্মপুর রোড। এই রাস্তার উপরে রয়েছে একাধিক বাজার। ব্রহ্মপুর এবং বাঁশদ্রোণীর সঙ্গে গড়িয়ার যোগাযোগ মূলত এই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল। বাসিন্দারা জানান, রোজ ব্যস্ত সময়ে এই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকত। দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দারা রাস্তাটির সম্প্রসারণের দাবি জানাচ্ছিলেন। অবশেষে সেই কাজ হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, এতে যাতায়াতের স্বাচ্ছন্দ্য বেড়েছে।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, গড়িয়া-ব্রহ্মপুর রোডের সম্প্রসারণ এবং সংস্কার করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। এরই মধ্যে গড়িয়ার যুবক সঙ্ঘ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাঁশদ্রোণীর স্টেট ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত কাজ হয়ে গিয়েছে। সামান্য কিছু অংশের কাজ বাকি রয়েছে।
১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাস্তাটি চওড়া করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ছিল। সেই সব সমস্যার সমাধান করে রাস্তাটি সম্প্রসারণ করতে পারায় এলাকার বাসিন্দাদের লাভ হল।” ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের গোপাল রায়ের কথায়: “রাস্তাটির কিছু অংশ আমার ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। বাসিন্দারা আমায় অনেক দিন ধরে রাস্তাটি চওড়া করার জন্য বলছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই কাজটা করা গেল।”
সম্প্রসারণের পরে কাজ শুরুর অপেক্ষায়
এই রাস্তার সম্প্রসারণের অন্যতম বাধা ছিল দু’পাশের দখলদারি। অভিযোগ, সব অংশে দখলদারি সরানো যায়নি। দখলদারি কিছুটা সরিয়ে সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে গড়িয়া-ব্রহ্মপুর রোডের সংস্কার ও সম্প্রসারণ হলেও তা আবার দখল হয়ে যেতে পারে। বাসিন্দা অলকেশ মৈত্রের কথায়: “রাস্তার হাল আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। যানজটও অনেক কম হচ্ছে। কিন্তু কিছু জায়গায় এখনও দখলদারি রয়ে গিয়েছে।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “রাস্তা সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে অনেক জায়গাতেই দখলদারির সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই রাস্তার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কয়েকটি জায়গা বাদে সমস্যার সমাধান করে গড়িয়া-ব্রহ্মপুর রোড সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়েছে।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.