|
|
|
|
মেরিনদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনআইএ-র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দুই ইতালীয় মেরিনের হাতে দুই ভারতীয় মৎস্যজীবী হত্যা মামলায় এ বার নয়া মোড়। গোটা ঘটনার তদন্তভার গত কাল সন্ধ্যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর তদন্তভার পাওয়া মাত্রই দুই ইতালীয় মেরিনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল এনআইএ।
যার ফলে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে দুই ইতালীয় মাসিমিলিয়ানো লাতোর এবং সালভাতোর জিরোনের ভবিষ্যৎ। কারণ, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, খুনের অভিযোগ যদি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হয়, তা হলে অভিযুক্ত দু’জনের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। দুই মেরিনের বিচার নিয়ে এর আগেও ভারত আর ইতালির মধ্যে বিস্তর চাপান-উতোর চলেছে। সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না মেনেই ইতালি প্রথমে জানিয়েছিল, ওই দু’জনকে ভারতে পাঠানো হবে না। এর পর ভারত বিষয়টি নিয়ে কড়া মনোভাব দেখায়। ওই দুই মেরিনের মৃত্যুদণ্ড হবে না বলে গত মাসে জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। সূত্রের খবর, সেই আশ্বাস পাওয়ার পরই ইতালির সরকার দুই মেরিনকে ফেরত পাঠাতে রাজি হয়েছিল।
কিন্তু আজ এনআইএ খুনের অভিযোগ আনার সেই মামলার মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ইতালীয় সরকারের। আর সেই আশঙ্কা থেকেই আজ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি ফোন করেন সলমন খুরশিদকে। খুরশিদের সঙ্গে আজ বৈঠক করেন ইতালীয় উপ বিদেশমন্ত্রী স্টাফান ডি মিস্টুরা। গোটা ঘটনার মোড় যে ভাবে ঘুরে গিয়েছে, তাতে অস্বস্তিতে ভারত সরকারও। বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে খুরিশদ আবার আশ্বাস দিয়েছেন ইতালিকে। ভারত সরকারের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই মৎস্যজীবী হত্যার ঘটনা যাতে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হিসেবে না-দেখা হয়, সেই চেষ্টাও চালাচ্ছে সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রের খবর, খুরশিদ আজ ইতালিকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ১৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ভারত আবেদন করবে, যাতে ওই দুই ইতালীয়র মারাত্মক কোনও শাস্তি না-হয়। |
|
|
|
|
|