|
|
|
|
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন না-করালে বন্ধ হবে অনুদান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নিজেরা কতটা দক্ষ, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তার মূল্যায়ন করায় না। অথচ তাদের মূল্যায়ন করার জন্য নির্দিষ্ট সংস্থা আছে। এত দিনে সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই এই মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি।
এর আগে অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের উদ্যোগে মূল্যায়ন করালেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু ইউজিসি-র নতুন নিয়মে যে-সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মূল্যায়ন করাবে না, তারা কমিশনের অনুদানও পাবে না। সম্প্রতি এই নিয়মের ব্যাপারে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সাধারণ ডিগ্রি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করে গ্রেড দেওয়ার কাজটি করে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা ‘নাক’। মূল্যায়নে পঠনপাঠন, গবেষণা, পরিকাঠামো, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ইত্যাদি বিষয় যাচাই করা হয়। ইউজিসি-র নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে আরও বেশি জোর দিতে চাইছে নাক। সেই জন্য নিজেদের পরিকাঠামোও বাড়াচ্ছে তারা। এখন নাক-এর একটিই দফতর আছে বেঙ্গালুরুতে। এ বার দেশের চার প্রান্তে চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় খোলার পরিকল্পনা করেছে ওই সংসদ। নাক-এর উপ-উপদেষ্টা বি এস মধুকর শুক্রবার কলকাতায় এই পরিকল্পনার কথা জানান। এ দিন জে ডি বিড়লা ইনস্টিটিউট আয়োজিত উচ্চশিক্ষার মান বিষয়ক একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন মধুকর। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এখন নাক মূল্যায়িত কলেজের সংখ্যা ৭৬। রাজ্যের মোট কলেজের ৮.৫ শতাংশ। মূল্যায়িত কলেজের ১৭ শতাংশ পেয়েছে সর্বোচ্চ (‘এ’) গ্রেড।” তিনি জানান, গোটা দেশে ‘এ’ গ্রেড পাওয়া কলেজের হার ২৪ শতাংশ। তা হলে উচ্চশিক্ষায় মানের প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ কি গোটা দেশের নিরিখে পিছিয়ে পড়ছে? আলোচনাসভার পরে মধুকর বলেন, “এটাকে পিছিয়ে পড়া বলা ঠিক হবে না। নাক-এর মূল্যায়ন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অনেক কলেজ মূল্যায়নের জন্য আবেদন জানিয়েছে।” সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে চিত্রটা পাল্টাতে পারে বলে তাঁর মত।
|
|
|
|
|
|