|
|
|
|
জীর্ণ বাড়িতেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পলিটেকনিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
কাজিয়া চলছে দুই সরকারি দফতরের মধ্যে। আর ‘বলির পাঁঠা’ হচ্ছেন কলেজ পড়ুয়ারা। সরাইকিলা-খরসোঁয়া জেলার আদিত্যপুর পলিটেকনিক কলেজের হালএমনটাই।
কখনও ছাদ থেকে খসে পড়ছে প্লাস্টার। কখনও দেওয়াল থেকে। বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে লেখাপড়া করছেন আদিত্যপুর পলিটেকনিক কলেজের পাঁচশো ছাত্রছাত্রী। গত এক বছর ধরে এমনই অবস্থা সেখানে। বিপদ এড়াতে কয়েকটি ক্লাসরুম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চেষ্টা চলছে কলেজের ওয়ার্কশপগুলিও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার।
অভিযোগ, এক বছর ধরে একাধিক চিঠি সরকারের পূর্ত এবং বিজ্ঞান ও কারিগরি বিভাগকে লিখেও সমস্যার কোনও সুরাহা করতে পারেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের দুই বিভাগের মধ্যে প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে গোলমাল। তার খেসারত গুনতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। কখনও তাঁর ক্লাস করতে পারছেন না। কখনও আবার প্র্যাকটিক্যাল করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। |
|
এমনই হাল আদিত্যপুর পলিটেকনিকের। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
সরাইকিলার ওই পলিটেকনিক কলেজে ঢুকলেই চোখে পড়বে কলেজ বাড়িটির দৈন্যদশাগ্রস্থ চেহারা। কলেজের অধ্যক্ষ সুরেন্দ্রকুমার মাহাতর অভিযোগ,“ চিঠি লিখে লিখে আমরা ক্লান্ত। পূর্ত দফতর, বিজ্ঞান ও কারিগরি বিভাগ- কেউই কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই বর্ষার আগে যদি কলেজ ভবনের সংস্কারের কাজ শুরু না করা যায় তবে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ সামনে পরীক্ষা।”
কী নিয়ে গোলমাল ওই দুই দফতরে?
জেলার পূর্ত দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার অশোককুমার সিংহের অভিযোগ,“ আমরা কলেজ বাড়িটি সংস্কারের কাজের জন্য এক কোটি টাকার মতো বরাদ্দ অনুমোদনের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা সেটি বিজ্ঞান ও কারিগরি বিভাগের কাছে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ওই দফতরটি যদি টাকা না দেয় তা হলে কাজ কী করে হবে।”
পাল্টা অভিযোগ করে বিজ্ঞান ও কারিগরি বিভাগ জানাচ্ছে, বিভিন্ন সময় পূর্ত দফতর যে সব সরকারি বাড়ি তৈরি করেছে সেগুলির অধিকাংশেরই হাল খারাপ। দফতরের চেয়ারম্যান অরুণ কুমারের অভিযোগ,“ পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছিল একবার কাজ করলে তিন বছর অন্তত তার পিছনে আর কোনও টাকা খরচ করতে হবে না এমন নিশ্চয়তা দিতে। কিন্তু তারা তা দিতে রাজি নয়। জন সাধারণের টাকা নয়ছয় করব নাকি। আমরা পাবলিক সেক্টর আণ্ডার টেকিং দফতরকে দিয়ে ওই কলেজ বাড়িটি পরীক্ষা করাব। তারপরে সিদ্ধান্ত হবে।” ফলে ওই কলেজের পড়ুয়াদের সমস্যা আপাতত রয়েই গেল।
|
|
|
|
|
|