পড়ে পায়ে চোট ছাত্রীর, উদ্ধারের প্রতিযোগিতায় কলেজে মারপিট
ছাত্র-সংঘর্ষের জন্য আর বড় ধরনের কোনও কারণের অপেক্ষা করতে চাইছে না কোনও ছাত্র সংগঠনই। যে-কোনও ছুতোয় শুরু হয়ে যাচ্ছে হাতাহাতি। যেমন হল শ্যামাপ্রসাদ কলেজে।
পড়ে গিয়ে আহত হন এক সহপাঠিনী। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কাজ দেখানোর এমন সুযোগ কি হাতছাড়া করা চলে! ‘শিভালরি’ দেখানো নিয়ে তাই রীতিমতো রেষারেষি শুরু হয়ে গেল দু’দল ছাত্রের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত যা গড়াল মারামারি পর্যন্ত। হল থানা-পুলিশও।
শুক্রবার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের ওই ঘটনায় যুযুধান ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরস্পরের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে এসে মারামারির অভিযোগ জানিয়েছে। যদিও দু’তরফেরই দাবি, সহপাঠিনীকে উদ্ধার করা নিয়ে গোলমাল হয়নি। টিএমসিপি-র অভিযোগ, বচসা-মারামারি হয়েছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। আর ছাত্র পরিষদ জানিয়েছে, টিএমসিপি-সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছিলেন। তা থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রেরা। কলেজের পরিচালন সমিতির এক কর্তা বলেন, “একটা গোলমাল হয়েছে শুনেছি। তবে সেটা কেন, তা বলতে পারব না।” দু’দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তোলা, নির্বাচনের ফলপ্রকাশ ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মারামারি লেগেই থাকে। কলেজে অশান্তি রুখতে তাই ছাত্রভোটই বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে গোলমাল থামার লক্ষণ নেই। এ দিন ঠিক কী ঘটেছিল?
কলেজের একটি সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত সন্ধ্যা সওয়া ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ। সেই সময় ওই ছাত্রী আচমকা পড়ে যান। কোন দলের সমর্থকেরা তাঁকে তুলবেন, তা নিয়ে বচসা থেকে মারামারি শুরু হয়। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই কলেজের কিছু ছেলে সন্ধ্যায় সেখানে একটি ছাত্রীর চিকিৎসা করিয়ে আঘাত সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে যান।
ছাত্র পরিষদের কলকাতা জেলা সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, “এক ছাত্রী পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। আমাদের দলের ছেলেরা তাঁকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে যান। সেখান থেকে কলেজে ফেরার পরে তাঁদের বেধড়ক মারধর শুরু করে টিএমসিপি-র সমর্থকেরা। আক্রমণকারীরা ছাত্র নয়, বহিরাগত।” টিএমসিপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার বক্তব্য, তৃতীয় বর্ষের ফর্ম পূরণের সময় ছাত্র পরিষদের এক দল ছেলে তোলা আদায় করছিল। টিএমসিপি-র ছেলেরা তাতে বাধা দেন। তাতেই গোলমাল বাধে। তাঁর অভিযোগ, “ক্ষুর নিয়ে টিএমসিপি-র ছেলেদের উপরে চড়াও হয় ছাত্র পরিষদ। এতে আহত হয়ে তাঁদের এক সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।” শঙ্কুদেবের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.