ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মেঘালয় গণধর্ষণ মামলার শুনানি শুরু হল। পাশাপাশি অস্বস্তি বোধ করায় নতুন স্কুল ছেড়েও চলে গেল ধর্ষিতা ছাত্রীটি। ধর্ষণ নিয়ে রাজ্য প্রতিবাদ মুখর হলেও ধর্ষণের ঘটনা অবশ্য কমছে না। গত ৪৮ ঘণ্টায় মেঘালয়ে আরও তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
গত ডিসেম্বরে, উইলিয়াম নগরে হওয়া ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী ও পরিবার কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছিল। প্রতিবেশীদের চাপে তাঁদের বসত গুটিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়। একাধিক স্কুল তাঁকে ভর্তি নেয়নি। সেই সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগে এক মন্ত্রীর আত্মীয় ও এক আত্মসমর্পণ করা জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ায়, মন্ত্রীর পরিবার ও এএনভিসি জঙ্গি সংগঠনের তরফে মেয়েটিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁকে তুরায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে রাখতে হয়। অবশেষে পূর্ব গারো হিলের জেলাশাসক বিজয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ছাত্রীটিকে উইলিয়াম নগরেরই একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দু’দিন আগে মেয়েটির ভাই তাঁকে স্কুল থেকে নিয়ে যায়। মেয়েটি জানিয়েছে, স্কুলের হস্টেলে অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে তাকে থাকতে হয়। সকলেই তাঁর পরিচয় ও ঘটনাটি জানতে পেরেছে। ফলে মেয়েটির অস্বস্তি কাটছে না। ছাত্রীর আবেদন, উইলিয়াম নগরে থাকলে ধর্ষিত হওয়ার স্মৃতি তাঁর পিছু ছাড়বে না। তাঁকে যেন অন্যত্র স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। আপাতত মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষিকা জেনি এন সাংমা মেয়েটির ভার নিয়েছেন। তিনি জানান, মেয়েটির একটি বছর ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়েছে। জুন মাসে ষাণ্মাসিক পরীক্ষা। রাজ্য সরকার দ্রুত বিকল্প স্কুলের ব্যবস্থা না করলে ওই ছাত্রীর দু’টি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হবে।”
এদিকে, বুধবার থেকেই তুরার ফাস্ট ট্রাক আদালতে গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আদালত ইতিমধ্যে অভিযোগকারিণী ও পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্য যাচাই করে দেখেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ৯ জন অ-প্রাপ্চবয়স্ক। তাই বাকি সাতজনকে আদালতে হাজির করা হয়। বাকিদের শুনানি জুভেনাইল আদালতে হবে।
|