|
|
|
|
হরিদ্বারে গ্রেফতার বিহারের মাফিয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
দশ বছর ফেরার থাকার পরে হরিদ্বারে, বিহার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ঠিকাদারদের ত্রাস, শম্ভু সিংহ। তার বিরুদ্ধে খুন ও তোলা আদায়ের মতো ১৫টি মামলা আছে। কাল শম্ভুকে গ্রেফতার করে বিশেষ টাস্ক ফোর্স। বিহার পুলিশের পক্ষ থেকে শম্ভুর খবর দিলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশেষ টাস্ক ফোর্সকে এই টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শম্ভু মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা। তার কাজ ছিল কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের (সিপিডব্লুডি) ঠিকাদারির কাজ নিয়ন্ত্রণ করা। তার কথা মতো ঠিকাদাররা কাজ পেতেন। সেই অনুযায়ী তাকে টাকা দিতে হতো। পুলিশের মতে, শম্ভুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার উপর। পটনায় ‘শম্ভু-মন্টু গ্যাং’ নামে একটি দল চালাতো শম্ভু ও তার সহযোগী মন্টু সিংহ। জানুয়ারিতে মন্টু ধরা পড়ে। তার আগে গ্রেফতার হয় দলের বেশ কিছু পাণ্ডাও। অধরা ছিল প্রধান। ১০ বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে পালিয়ে থাকলেও তার কাজ বন্ধ হয়নি। খুন ও তোলা আদায় সে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছিল। তার সর্ব শেষ কীর্তি গত বছর। সিপিডব্লুডি-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের ঘরে বসন্ত সিংহ নামে এক ঠিকাদারকে তার লোকজন গুলি করে হত্যা করে। তার ঠিক আগে মুজফ্ফরপুরের ঠিকাদার রামনরেশ শর্মাকে খুন করে শম্ভু-মন্টুর লোকেরা। এদের ভয়ে ঠিকাদাররা কাজ করতে ভয় পাচ্ছিলেন। এই নিয়ে পুলিশের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছিল। পুলিশ শম্ভুকে ধরার জন্য এক লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে। ধৃত শম্ভুকে আজ দেরাদুনের আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আইজি (অপারেশন) অমিত কুমার বলেন, “কাল শম্ভুকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ টাস্ক ফোসের্র পুলিশ। শম্ভু উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম এলাকা ও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রোমোটারির ব্যবসা করছিল। দেরাদুনে বসেই বিহারে ফোনে অপরাধ চালাচ্ছিল। দেরাদুনে সে ঘরবাড়ি তৈরি করে বেশ কয়েক বছর ধরে বসবাস শুরু করেছিল।” |
|
|
|
|
|