গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল। এ বার তা সত্যি হল। আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানালেন শম্ভুনাথ কাও। আর সেই আবেদন গ্রাহ্য হলে পুলিশি ব্যর্থতাই কি প্রমাণিত হবে, মঙ্গলবার এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। পুলিশের অবশ্য দাবি, এখনও ‘হন্যে’ হয়ে খোঁজা হচ্ছে অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরকে।
ওই দিন শম্ভুনাথ নিজে আদালতে হাজির ছিলেন না। আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁর আর্জি আদালতে পৌঁছে দেন কাও। আদালত সূত্রের খবর, আগামী ৮ এপ্রিল ওই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। এর পাশাপাশি, পুলিশি হেনস্থার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা অভিযোগও বুধবার দুপুরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় কাওয়ের পরিবারের তরফে।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শম্ভুনাথ কাও গত ১৫ দিন ধরে অধরা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় রোজই জায়গা বদলে বদলে থাকছেন ওই কাউন্সিলর। তাঁকে হাতেনাতে ধরার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত অধরাই রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। এক পুলিশকর্তা বলেন, “গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবালের খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময়ে ফোনে আড়ি পেতে তাঁর অবস্থান জানা যায়। কিন্তু একই জাল বিছিয়েও কাওয়ের গতিবিধি সম্পর্কে কোনও আঁচ পাচ্ছে না পুলিশ।”
পুলিশের অন্য অংশের দাবি, শহরের কাছে কোনও ভেড়ি বা অন্য গোপন ডেরায় আছেন তিনি। শনিবার মহেশতলার সরকারপোলে তল্লাশি চালিয়ে কাওয়ের শ্যালিকার ছেলে দেবাশিস সরকারকে গ্রেফতার করার পরে পুলিশের সেই ধারণা দৃঢ় হয়েছে। মহেশতলায় দেবাশিসের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে পুলিশ নগদ ৫৯ লক্ষ টাকা ও ১৭ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করে। মেলে কাওয়ের মোটরবাইকও। পুলিশের অনুমান, গা ঢাকা দিয়ে থাকার সময়ে টাকার দরকার হতে পারে জেনে আগেই টাকার ব্যবস্থা রেখেছিলেন কাও। পুলিশের দাবি, তা পুলিশের হাতে চলে যাওয়ায় বেশি দিন কাওয়ের পক্ষে লুকিয়ে থাকা সহজ হবে না। সেই কারণেই কি কাও আগাম জামিনের আবেদন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ-মহলে।
|