রেশম নগরীর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল অসম সরকার। ৩০ মার্চ থেকে ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা বেনারসী ও সিল্কের শাড়ির বিরুদ্ধে শুয়ালকুচির রেশম শিল্পীরা আন্দোলন শুরু করেন। বহু দোকান থেকে সিল্কের শাড়ি বের করে এনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে দু’দিনে ১০ জন জখম হয়েছেন। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশকে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, গুলি চালাতে হয়। তাতেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। জারি করা হয় কার্ফু। আজ রাজ্য সরকারের মুখপাত্র তথা বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন বলেন, “পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কেন রেশম নগরী অশান্ত হয়ে উঠল তার কারণ সন্ধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।”
বিষয়টি নিয়ে আজ বিধানসভায় প্রশ্ন তোলে অসম গণ পরিষদ। বয়ন ও রেশমবিষয়ক মন্ত্রী প্রণতি ফুকন বলেন, “শুয়ালকুচিতে বেনারস থেকে আনা শাড়ির বিক্রির বিষয়টি নিয়ে সরকার এখনও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি। পুরো তথ্য হাতে আসার পরে স্থানীয় রেশম শিল্পকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে শিল্পীদের জন্য রেশম ব্যাঙ্কের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ভর্তুকি মূল্যে কাঁচামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” পাশাপাশি, নকল ও আমদানি করা ‘অসমীয় মেখলা-চাদর’ ও ‘ফুলাম গামোসা’ বিক্রি রুখতে সরকার বিশেষ ‘এনফোর্সমেন্ট স্কোয়াড’ গড়বে।
ফুকন জানিয়েছেন, শুয়ালকুচি সিল্কের জন্য স্বতন্ত্র ‘ট্রেড মার্ক’ দিয়ে কেন্দ্রীয় রেশম বোর্ডকে নাগাড়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তবে শুয়ালকুচি ও বেনারসীর বিক্রি প্রসঙ্গেও প্রদেশ কংগ্রেসের তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ বিধানসভায় বলেন, “রাজ্যে বেনারসী শাড়ির ঢালাও বিক্রির ব্যাপারে আমায় কিছুই জানানো হয়নি।”
অথচ স্থানীয় বিধায়ক তথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, “২০১১ সালে শুয়ালকুচির প্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিও দেন। গত বছর শুয়ালকুচিতে উদ্যান ও সংগ্রহালয় উদ্বোধনে এসেও মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতির কথা ফের ঘোষণা করেছিলেন।”
|