|
|
|
|
শিক্ষার অধিকার আইন |
এখনই যাচ্ছে না স্কুলের স্বীকৃতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অবশেষে স্বস্তি। শিক্ষার অধিকার আইনের শর্ত পূরণ না হয়ে থাকলেও এখনই বাতিল করা হচ্ছে না স্কুলের অনুমোদন, জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী এম এম পল্লম রাজু। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে পল্লম রাজু তাঁর এই সিদ্ধান্ত জানাতে চলেছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। ফলে আপাতত শুধু স্কুলগুলি নয়, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে রাজ্য সরকারগুলিও।
শিক্ষার অধিকার আইনে (২০০৯) বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্কুলের পরিকাঠামোগত শর্ত পূরণ না করতে পারলে বাতিল করা হবে স্বীকৃতি। ৩১ মার্চ সেই সময়সীমা পার হয়েছে, তাই আশঙ্কায় ভুগছিল বহু স্কুল। আজ পল্লম রাজু বলেন, অধিকাংশ স্কুলই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই নিজেদের সীমিত ক্ষমতায় ওই শর্তগুলির (যথাযথ ছাত্র-ক্লাসঘর অনুপাত, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক শৌচাগার, খেলার মাঠ ইত্যাদি) প্রায় ৯০ শতাংশ রূপায়ণ করেছে। তাই এখনই কোনও স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করা হচ্ছে না।
তিন বছরেও শর্ত পূরণ না হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য কেন্দ্রের কাছে বাড়তি সময়সীমা ও অর্থ সাহায্যের দাবি জানিয়ে আসছিল। মন্ত্রক প্রথমে এই বিষয়ে নরম মনোভাব নিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর কথা চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। কিন্তু পল্লম রাজু মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সাফ জানিয়ে দেন, বাড়তি সময় দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রাজ্যগুলিকে প্রতিটি শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। এ ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত নির্মাণে প্রয়োজনে সাহায্যও করতে এগিয়ে আসতে হবে রাজ্যকে। নইলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে।
ফলে শুধু স্কুলগুলিই নয়, আশঙ্কায় ছিল রাজ্য সরকারেরাও। আজ সেই উদ্বেগ নিরসন করে পল্লম রাজু জানান, যে ভাবে বিভিন্ন রাজ্যগুলি ওই আইন রূপায়ণে এগিয়ে এসেছেন তাতে মন্ত্রক সন্তুষ্ট। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গোটা দেশের সরকারি স্কুলগুলি ৮৫ শতাংশ পরিকাঠামোগত শর্ত মেনেছে। ফলে স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নতিতে রাজ্যগুলি যাতে আরও সক্রিয় হয়, আজ মঙ্গলবারের বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের কাছে সেই আবেদন জানাবেন পল্লম রাজু। বেসরকারি মতে শিক্ষার অধিকার আইন রূপায়ণ হওয়ার পরে গোটা দেশের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ শিশু শিক্ষার আঙিনায় এসেছে। কিন্তু আজ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক গত তিন বছরের হিসাব নিকেশের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ভারতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ভর্তির গড় প্রায় ৯৬%। যা আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন পল্লম রাজু। এখন রাজ্যগুলিকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তাই তিনি দিতে চান। |
|
|
|
|
|