ঘরোয়া বচসা ও মারপিটের অভিযোগে রবিবার বিশরপাড়ায় পুলিশ খুনের অন্যতম সাক্ষী মামন ধরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মামনের মা সোমা ধরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বছর দোলের দিন বিশরপাড়ায় পাড়ার মহিলাদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক দল মদ্যপ দুষ্কৃতীর হাতে খুন হন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দাম। সেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মামন। কনস্টেবল খুন হওয়ার পরে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল নিমতা থানা। পরেও তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। এ দিনের ঘটনায় সেই নিমতা থানাই মামন এবং তাঁর মাকে গ্রেফতার করায় পুলিশের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
কী হয়েছিল এ দিন? পুলিশি সূত্রের খবর, মামনের পৈতৃক বাড়ি বিশরপাড়ার সপ্তগ্রামে। মামনের বাবা কমল ধর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী অণিমা দাসকে নিয়ে আলাদা থাকেন। মামন বিশরপাড়ার নবজীবন পল্লিতে মামার বাড়িতে থাকলেও সোমাদেবী থাকেন সপ্তগ্রামে। অভিযোগ, এ দিন বিকেলে কমলবাবু ও অণিমাদেবী সপ্তগ্রামের বাড়িতে গিয়ে সোমাদেবীকে মারধর করেন। খবর পেয়ে মামন কয়েক জন আত্মীয়কে নিয়ে সপ্তগ্রামের বাড়িতে যান। বচসা হয়। মামনের পরিজনেরা জানান, মামন নিমতা থানায় ফোন করেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনও আশ্বাস না-পাওয়ায় ফোন করেন বিধাননগর ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের দুই কর্তাকে। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সপ্তগ্রামে হাজির হয়। মামন-সহ দু’পক্ষের চার জনকে নিমতা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কমলবাবু ও অণিমাদেবীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন সোমাদেবী। পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন কমলবাবুও। তার পরেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এডিসি (বেলঘরিয়া) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” কিন্তু কমলবাবুরাই তো প্রথমে হামলা চালিয়েছিলেন। তা হলে সোমাদেবীদের গ্রেফতার করা হল কেন? বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “দু’পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ না-মিললে চার্জশিটে মামনদের নাম থাকবে না।” |