দু’দিন ধরে পালিত হল বসন্তোত্সব। বালুরঘাটের প্রেস ক্লাব থেকে শিলিগুড়ির বসুন্ধরা সর্বত্রই আবির উড়িয়ে নাচ-গানে যোগ দিলেন শিল্পীরা। কোচবিহারের খাগরাবাড়িতে উত্সবের আয়োজন করে ছন্দম সাংস্কৃতিক সংস্থা। বুড়িরপাট ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে নাচ, গান, কবিতা পাঠের শেষে ছিল রং খেলা। সারদাপল্লি নাগরিক সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। বুধবার সকাল থেকে তিলক সাধু মোড় সংলগ্ন ময়দানে নাচ, গান, রং খেলায় মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছিলেন দীপক শীল, সুবীর সরকার, মিঠু ভৌমিক-সহ অনেকে।
অন্য দিকে, শিলিগুড়ির দক্ষিণ ভারতনগরে ক্ষণিক সঙ্ঘের মাঠে বসন্তোত্সবে মেতেছিলেন বাসিন্দারা। ক্লাব সভাপতি সুশান্ত সেনের উদ্যোগে এটিই তাদের প্রথম বসন্তোত্সব। ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ডলি দত্ত, শ্রেয়া দত্ত, প্রীতি সেন এবং কচিকাঁচারা। নৃত্য পরিবেশন করেন কাজরি দে, উত্সা বড়ুয়ারা। ভাষ্যপাঠে দেবলীনা দত্ত মজুমদার, সৌম্যপ্রতিম দত্ত। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশ রঞ্জন দে।
দোল উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মেতেছিল জলপাইগুড়ি শহরও। শিশুনিকেতন বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইকুইনক্সে’র বসন্তের জলসা। ছিল ‘রং রহস্য’, ‘গানের আড্ডা’, ‘নৃত্যের রং মশাল’। বিকেলে বসন্তের কবিতার আড্ডা বসে কবি প্রবীর রায়ের বাসগৃহ ‘শ্যামলছায়া’য়। সন্ধ্যায় চিত্তপটের বসন্তোত্সব পালিত হয়। নাচে-গানে-কবিতায় খুদে শিল্পীদের মজাদার অনুষ্ঠানের পর ‘আজ বসন্ত’ শীর্ষক আলেখ্য সবার মন জয় করে।
পাশপাশি মালবাজারেও আড্ডা, নাচ-গানে বসন্তোত্সব হয়েছে। স্থানীয় রথখোলা ময়দানে দিশা গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে শিশুশিল্পীরা নাচ-গান পরিবেশন করে। আনন্দপল্লিতে বসন্তোত্সবের আয়োজন করেন মহিলারা। সেখানেও ছিল নাচ-গান। প্রভাতফেরির আয়োজন করেন সঞ্চারী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের কলাকুশলীরা। দোল উপলক্ষে মালবাজার সুভাষিণী উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডুয়ার্স ডান্স গ্রুপ এবং নটরাজ ডান্স গ্রুপের শিল্পীরা। এ দিকে, শুক্রবার দোল মেলা হয়েছে ময়নাগুড়ি সংলগ্ন লক্ষ্মীরহাটে। সন্ধ্যায় ছিল অনুষ্ঠান।
|
দোলযাত্রার দিন প্রভাতফেরির আয়োজন করেছিল জলপাইগুড়ি নতুনপাড়ার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্রবীথি। রবীন্দ্রবীথির সদস্যদের সঙ্গে প্রভাতফেরীতে যোগ দেন ইচ্ছেডানা ও কলাকুশলী নাটগোষ্ঠীর সদস্যরা। ছিলেন শহরের বিশিষ্টজনরাও। শহরের কদমতলায় পরিবেশিত হয় গীতি আলেখ্য-‘বসন্তে বসন্তে কবিরে দাও ডাক’। পরে পথ চলতি মানুষকে আবির মাখিয়ে পালিত হয় বসন্তোত্সব।
|
গত ২০-২২ মার্চ তিন দিনের রূপকথা নাট্যগোষ্ঠীর নাট্যোত্সব হল কোচবিহারের রবীন্দ্র ভবনে। উত্সবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ হয় উত্তীয় দে নির্দেশিত ‘লক্ষ্মী ছাড়ার পাঁচালি’ এবং ‘স্বপ্নের বাঁশিওয়ালা’। পরের মঞ্চস্থ হয় মেঘনাদ বধ কাব্য নাটক।
|
িবশ্ব নাট্য দিবসে ‘জলপাইগুড়ি নাট্যচর্চা কেন্দ্র’-এর পথ চলা শুরু হল। শহরের নাট্যকর্মী ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ নাটকের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবেন। সংস্থার সম্পাদক গৌতম গুহ রায় জানান, সংস্থার উদ্যোগে নাট্যোত্সব, আলোচনাসভা, কর্মশালা, পত্রিকা প্রকাশ হবে। পরে জমি পেলে স্থায়ী প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণও কেন্দ্রের লক্ষ্য।
|
ময়নাগুড়ির চাতরার পাড় এলাকায় মা গোসানি পুজো কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে হয় পালাটিয়া গান। কাশিয়াবাড়ি এলাকার পালা গানের দল অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। ওই রাতে দোল মেলায় লোকসঙ্গীতের আসর বসে বাগজান গ্রামে। সম্প্রতি ময়নাগুড়ি হাইস্কুলে হয়েছে বিজ্ঞান মেলা ও অনুষ্ঠান। ছিল বিবেকানন্দের জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনাচক্র।
|
ভারতীয় ভাষা সংস্থান কেন্দ্র, বেঙ্গালুরু ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর স্টাডিস লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাণ্ড কালচার- এর যৌথ উদ্যোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি-৯ মার্চ হল রাজবংশী ভাষা অভিধানের কর্মশালা। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ড. দীপক রায়, অধ্যাপক নিখিলেশ রায়, জগদীশ রায় আশুয়ার, এছাহক আলি, রঞ্জিত্ মণ্ডল প্রমুখ। যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও। কর্মশালার মূল পরিচালক ছিলেন ভারতীয় ভাষা সংস্থান কেন্দ্রের প্রাক্তন অধিকর্তা ড. সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন।
|
বালুরঘাট কলেজের বাংলা বিভাগ ও ফেরী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মন্মথ রায় মঞ্চে হল লোকসংস্কৃতি পদ্ধতি ও ক্ষেত্র সমীক্ষা বিষয়ক জাতীয় পর্যায়ের আলোচনাচক্র। ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি পল্লব সেনগুপ্ত, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা সংসদের সদস্য ড. শেখ মকবুল ইসলাম, অধ্যাপক বিকাশ রায় প্রমুখ। দু’দিনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের গবেষকরা গবেষণাপত্র পাঠ করেন। |