পর্যটনের জেলা মুর্শিদাবাদ। প্রতি বছর এ জেলায় লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন। ফলে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান নিয়ে এ জেলায় সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি হতে পারে। এবং সেই সম্ভবনাকে বাস্তবায়িত করা হবে বলে পূর্বতন সরকার ও বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ জেলার পর্যটন শিল্পের উন্নতির বিষয়ে বিগত ও বর্তমান দুই সরকারই অনেক গল্প শুনিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে সবের কোনও কিছুই বাস্তবাতি হয়নি। অথচ মুর্শিদাবাদ পুরসভা ও লাগোয়া এলাকায় পর্যটন দফতর কয়েক বছর আগে ২৯২.৭৭ একর নবাবি সম্পত্তি বিচার দফতরের অধীন মুর্শিদাবাদ এস্টেটের কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদি লিজ নিয়ে ফেলে রেখেছে। তার মধ্যে রয়েছে নিউ প্যালেস প্রাসাদ। তারপর থেকে নিউ প্যালেস প্রাসাদ বন্ধ রাখায় পর্যটকরা দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া রয়েছে মতিঝিল, নবাববাগ ও কিল্লা নিজামতের জায়গাগুলো। ওই সব জায়গাগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অথচ পর্যটন দফতরের কোনও হেলদোল নেই। একই ভাবে বহরমপুরের ভাগীরথীর নদীর পাড়ে জগন্নাথ ঘাটের কাছে পর্যটন দফতরের গঙ্গা হেরিটেজ প্রকল্পটি লক্ষ লক্ষ টাকায় তৈরি করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে প্রকল্পটি আড্ডাবাজদের দখলে চলে যাচ্ছে। তাই ইতিহাস বিজড়িত নবাবি সম্পত্তিগুলো রক্ষার পাশাপাশি এ জেলার পর্যটন শিল্পের সত্যিকারের উন্নতি করতে সরকার সচেষ্ট হোক। পর্যটন শিল্পের উন্নতি হলে পিছিয়ে থাকা মুর্শিদাবাদ জেলার আর্থিক বুনিয়াদ অনেকটাই মজবুত হবে। |
দীঘর্ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাদশাহি সড়কের বন্যেশ্বর মোড় থেকে বীরভূম লাগোয়া মুর্শিদাবাদের সীমান্ত গ্রাম মাঠখাগড়া পর্যন্ত পাকা সড়ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওই রাস্তায় এখনও বাস চালু হয়নি। বাস চললে মাঠখাগড়ার ভিতর দিয়ে বীরভূমের বিশোড় হয়ে মুরারই ও নলহাটির সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। তাতে স্থানীয় লোকজনও উপকৃত হবে। লোহারপুর থেকে জরুর গ্রাম হয়ে উমরপুর মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি এখন পাকা সড়ক। বাকি আছে ওই রস্তার উপর কয়েকটি কালর্ভাট তৈরির কাজ। ওই রাস্তায় কিছু দিন আগে রামপুরহাট থেকে মুর্শিদাবাদের জিনদিঘি পর্যন্ত দিনে দু’ বার বাস চলছিল। আবার আজিমগঞ্জ থেকে আরও একটি বাস ওই রুটে যাতায়াত করছিল। অজ্ঞাত কারণে ওই বাস দু’টো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে অনেক বেশি ভাড়া গিয়ে ‘লাদেন’, বা ‘ভ্যান’-এ যাতায়াত করতে হয়। কালর্ভাটগুলি তৈরির জন্য ও বন্ধ বাস চালুর জন্য আবেদন জানাই। |
সম্প্রতি ‘নদিয়া মুর্শিদাবাদ’ পৃষ্ঠায় একটি ছবির ‘ক্যাপসনে’ মুর্শিদাবাদ জেলার ‘বাজারসৌ’ গ্রামের নামকরণটি হয়েছে ‘বাজারসাউ’। ওই গ্রামে একটি স্টেশন আছে। কয়েক বৎসর হল অবাঙালি রেলকর্মীদের বিকৃত উচ্চরণের ভিত্তিতে ‘বাজারসৌ’ গ্রামের ওই অদ্ভুত নামকরণ হয়েছে। বাজারসৌর পরবর্তী স্টেশন ‘চৌরিগাছা’রও উচ্চারণ বিকৃতি ঘটেছে। তার ফলে ‘চাউরিগাছা’ হতে আর খুব বেশি দেরি নেই বলেই মনে হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে লোহাদহ ঘাট-বহরমপুর রুটে একটি বাস চলে। যার রুট নির্দেশিকায় প্রথম থেকেই ‘লোহাদহ’ হয়ে আছে ‘লৌহাদহ’। ছাড়পত্র দেওয়ার সময় স্থানের সঠিক নামটি যাচাই করার প্রয়োজন মনে করেননি আর টি ও সম্ভবত স্থানটির অখ্যাতির জন্যই। কাল যদি কেউ ‘বেলডাঙা’কে ‘বিল্বডাঙা’, ‘লালগোলা’কে ‘লোহিতগোলা’ বলে রুটের ছাড়পত্র দেন তখন আপত্তি উঠবে না তো? |
রঘুনাথগঞ্জ শহরের হরিদাসনগরের ভিতরে চৌরাস্তার মোড় থেকে শুরু করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে যাওয়ার রাস্তাটি অনেক দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছোট গাড়ি থেকে শুরু করে পুলিশের ভ্যান এমনকি আদালতের ভিতরে সংস্কারের কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া ইট, বালি ও পাথর বোঝাই লরির চাপে রাস্তাটি বসে গিয়েছে। ওই রাস্তাটির অনেক এলাকা বসে গিয়ে গর্তও হয়ে গিয়েছে। তার ফলে বর্ষায় জল জমে পুকুরের চেহারা নেয়। গুরুত্বপর্ণ ওই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে আসন্ন বর্ষায় বিপদ আরও বাড়বে। |
ট্রেনের কামরার ভিতরে ও স্টেশন চত্বরে ফেরিওয়ালা, বা দোকানদারেরা ওজনে ক্রেতাদের ব্যাপক হারে ঠকায়। ওই ব্যবসয়ীদের বাটখারার তলার দিকটায় দেখা যাবে সেখানের গর্ত করা স্থান থেকে অনেকটা ওজন তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে ক্রেতারা এক কেজি ওজনের ফল বা, গজা জাতীয় মিষ্টান্ন কিনলে ওজনে দেড়শো গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম কম পাবেন। ওই সব ওজন জালিয়াতদের বিরুদ্ধে সরকারি পর্যায়ে কোনও অভিযান হয় না কেন? |