দক্ষিণ কলকাতা
বজবজ
সরণি বেসামাল
জবজ পুর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোথাও কোথাও রাস্তার হাল এমনই যে যাতায়াত করাই দায়। বিভিন্ন মহলে এই সমস্যার কথা জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বর্ষায় সমস্যা আরও বাড়বে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা।
শেষ কবে বজবজ পুর এলাকার রাস্তাগুলির সংস্কার হয়েছে এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা তা মনে করতে পারছেন না। অভিযোগ, পুর প্রতিনিধিদের বার বার সমস্যার কথা জানিয়েও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি। বাসিন্দা তনু মিত্রের কথায়: “ভোটের আগে সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই বেহাল রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট চলে গেলে তা কারও মনে থাকে না।”
এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা বজবজ স্টেশন রোড দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। রাস্তার নানা জায়গায় পিচ উঠে মাটি বেরিয়ে গিয়েছে। কয়েক জায়গায় গর্তও রয়েছে।
অভিযোগ, কামারপাড়া সংলগ্ন রাস্তার অবস্থাও খারাপ। এই এলাকার রাস্তাগুলি দীর্ঘ দিন ভাঙাচোরা অবস্থা রয়েছে বলে বাসিন্দারা জানান। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, ফি-বর্ষায় এমন অবস্থা হয় যে হাঁটা যায় না। তখন কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে কাঁধে করে বড় রাস্তায় নিয়ে যেতে হয়। প্লাস্টার মোড় এলাকায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে নীচের ‘ঝামাব্যাটস’ বেরিয়ে এসেছে। বিভিন্ন অংশ এবড়োখেবড়ো হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সারা দিন খুব ধুলো ওড়ে। অবস্থা এমনই যে এই মোড় দিয়ে যেতে গেলে নাকে কাপড় বা রুমাল চাপা দিতে হয় বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এলাকার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং অধর দাস রোডও দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, এই দুই রাস্তার অধিকাংশ জায়গাতেই পিচ উঠে গিয়েছে। বিভিন্ন অংশে বিপজ্জনক ভাবে ইট উঠে রয়েছে। অনেক জায়গাতে গর্তও রয়েছে বলে তাঁরা জানান।
বজবজ পুরসভার বিরোধী দল বামফ্রন্টের অভিযোগ, মাত্র দুই বছরে পুর এলাকার রাস্তাগুলির এই হাল। পুরসভায় রাজনৈতিক পালাবদলের পরে এলাকার রাস্তা উন্নয়নের আর কোনও কাজ হয়নি। পুরসভার বিরোধী দলের কাউন্সিলর সিপিএমের প্রদ্যুত মজুমদার বলেন, “এখন যাঁরা বোর্ড চালান তাঁরা এলাকার উন্নয়নে আগ্রহী নন। তাই রাস্তার হাল।” পুরসভা সূত্রে খবর, এর মধ্যে বর্তমান বোর্ডের পক্ষ থেকে এলাকার খারাপ রাস্তাগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গুরুত্ব অনুযায়ী রাস্তাগুলির সারাইয়ের কাজ শুরু হবে। ব্যয় হবে প্রায় দু’কোটি টাকা। বজবজ পুরসভার উপ-পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, “পুর এলাকার কিছু রাস্তা খারাপ। পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজের জন্য কিছু রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। তাই এই হাল। খুব শীঘ্রই রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হবে।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.