মহেন্দ্র জেনা • শান্তিনিকেতন |
কিছু দিন আগেই ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সংগ্রহে থাকা রবীন্দ্রনাথের চশমা, চাদর ও আরও কিছু জিনিস পেয়েছে বিশ্বভারতী। এ বার কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রীও আসতে চলেছে। আগামী ৩১ মার্চ রথীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ মীরা চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা জয়িতা চক্রবর্তী সেগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে রবীন্দ্রভবনে দান করবেন।
|
বাবার সঙ্গে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। |
রবীন্দ্রভবনের অধিকর্তা, অধ্যাপিকা তপতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এত দিন ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা রথীন্দ্রনাথের স্মৃতিজড়িত বেশ কিছু সামগ্রী আমরা পাচ্ছি। তাঁর বেশ কিছু শিল্পসৃষ্টিও থাকছে।” জয়িতাদেবী উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের হাতে ওই সেগুলি তুলে দেবেন বলে আপাতত ঠিক রয়েছে। সে দিন লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে ‘রথীন্দ্রনাথ: অচর্চিত এক নায়ক’ শীর্ষক জাতীয় স্তরের একটি আলোচনারও আয়োজন করা হয়েছে।রবীন্দ্রনাথের পরে প্রথম উপাচার্য হিসেবে রথীন্দ্রনাথই বিশ্বভারতীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। পরে ব্যক্তিগত কারণে মাঝপথে স্বেচ্ছাবসর নেন। সব ছেড়ে জীবনের শেষ কয়েকটি বছর নিভৃতে দেরাদুনে কাটিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন কেবল বিনয় ভবনের ইংরেজি শিক্ষক নির্মল চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মীরাদেবী। তা নিয়ে এক সময়ে ঘরে-বাইরে প্রবল হইচইও হয়েছিল। |
মায়ের কাছ থেকে পাওয়া রথীন্দ্রনাথের স্মৃতিজড়িত কিছু সামগ্রী এতদিন সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন জয়িতাদেবী। তার মধ্যে রয়েছে চশমা, জামা, বালা, হাতে খোদাই করা শিল্পকর্ম ইত্যাদি। তার সঙ্গে বিভিন্ন প্রিয়জনকে লেখা রথীন্দ্রনাথের বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য চিঠিপত্রও রয়েছে, যা জয়িতাদেবী রবীন্দ্রভবনকে দিতে চান বলে জানিয়েছেন।
রথীন্দ্রনাথের শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা, স্থাপত্য ও কৃষি-ভাবনা নিয়ে আলোচনায় যোগ দিতে আসছেন বিশিষ্ট গবেষকেরা। উঠে আসতে পারে কবিপুত্রের ব্যক্তিগত জীবনের নানা অনালোচিত দিকও। রথীন্দ্র-জীবনীকার অরুণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিছু বিষয়ে আলোকপাত করবেন। পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “রথীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত জিনিস ও তাঁর শিল্পসৃষ্টি প্রদর্শশালায় আসছে, এ তো খুব আনন্দের খবর। ঠাকুর পরিবারের ওই সব দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী পর্যটক ও গবেষকদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠবে।” |