নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে জটিলতা কাটেনি। কিন্তু এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগে সিউড়ি থানার ভগবানবাটি গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের বাইরে সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষের পরে বুধবার দুই দলের ঝামেলায় তেতে উঠল ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকা। এক দিকে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে হুমকি, শ্লীলতাহানি-সহ নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ করেছে তৃণমূল, তেমনি তাদের প্রার্থীকে মারধর ও হুমকি দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেছে সিপিএমও। |
ময়ূরেশ্বর সোমনাথ মুস্তাফির তোলা ছবি। |
বুধবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে ময়ূরেশ্বর বটনগর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে বামফ্রন্টের কোনও ঐক্য হয়নি। বরং বিজেপি-তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে সরকারি সিপিএমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। ১২টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৫, ফব ৩, বিজেপি ও তৃণমূল ২টি করে আসন পেয়েছিল। ফবকে প্রধান ও তৃণমূলকে উপপ্রধানের পদ দিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড করে সিপিএম বিরোধী জোট। কিন্তু এ বারে তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভেঙে সিপিএমের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধেছে ফব। বটনগরে বিপদতারন বায়েনকে প্রার্থী করেছে ফব ও উন্নতি বায়েনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের ঢেকা অঞ্চল কমিটির সভাপতি সুশান্ত পালের অভিযোগ, “ওই দিন দুপুরে সিপিএম ও ফব-র লোকেরা আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় শ্লীলতাহানি করে এবং তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাদের দলের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক মহম্মদ মুস্তফা শেখ ও কর্মী হেমন্ত ঘোষকে তাড়া করে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়।” তাঁর দাবি, “এর পরে অস্ত্র-লাঠি নিয়ে হেমন্তর বাড়িতে চড়াও হয়ে লুঠপাঠ ও মারধর করে। মুস্তফা শেখের বাড়িতেও ভাঙচুর করে খড়ের পালুই, রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।”
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফব-র অঞ্চল কমিটির সম্পাদক শিবনাথ মুদি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের প্রার্থীকেই তৃণমূলের লোকেরা মারধর ও হুমকি দিয়েছে।” একই দাবি সিপিএমের স্থানীয় বিধায়ক অশোক রায়েরও। তিনি বলেন, “আগুন লাগানোর এবং ভাঙচুরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে আমাদের প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ধামাচাপা দিতেই ওরা ওই নাটক করেছে।” পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |