|
|
|
|
শীতল ঔদ্ধত্যে মহাশত্রু বধ |
|
কোটলায় ৪-০ ধোনির ভারত
গৌতম ভট্টাচার্য • নয়াদিল্লি |
|
এক বছর পঞ্চান্ন দিন ঘুরতে না ঘুরতেই কোনও ব্যক্তি
যদি সর্বসমক্ষে তার জীবনের বৃহত্তম লজ্জার প্রতিশোধ নিতে পারে,
তখন তার স্বাভাবিক ভাবভঙ্গি কী হওয়া উচিত?
চিত্রশিল্পী। চিত্রনাট্যকার। গল্পকার। ঔপন্যাসিক। যে কোনও শ্রেণিকে জিজ্ঞাসা করুন। তাঁরা অনিবার্য একটা উপাদান সৃষ্টিতে জুড়বেনই। সফল জিঘাংসার আবেগ। সেটা চোখের জল হতে পারে। উদ্ধত মুষ্টি হতে পারে। জামা খুলে ওড়ানো হতে পারে। হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে যাওয়া হতে পারে। পটলডাঙার বাজারে মাথা নিচু
করে যে সরকারি কেরানি প্রতিদিন শিঙি মাছ কেনে, সে-ও প্রতিশোধ জিতে উঠে দৃপ্ত সংহারকের শরীরী ভাষা দেখাবে।
তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তীব্র পুলে স্কোয়ারিশ মিডউইকেট দিয়ে বলটা বাইরে পাঠানোর পর মুহূর্তে এমন নির্বিকার ক্রিজে ফেরত এলেন, যেন এ বার পরের ডেলিভারির জন্য তৈরি হচ্ছেন! আগের বলের বাউন্ডারি থেকে তাই মন সরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। এত ভাবলেশহীন ভারত অধিনায়ককে দেখে কোটলা প্রেসবক্সও মুহূর্তের জন্য বিভ্রান্ত হচ্ছিল। তা হলে কি বলটা বাইরে যায়নি? কোনও কারণে রান হয়নি স্ট্রোকটাতে? গোটা সিরিজে ভারতের ব্যাটিং নায়ক চেতেশ্বর পূজারার ও দিক থেকে হেঁটে এসে স্টাম্পটা তুলে নেওয়া, অস্ট্রেলীয়দের করমর্দনের হাত এগিয়ে আসার পর চৈতন্য হল, ধোনি আবার একটা উইনিং স্ট্রোকই মেরেছেন!
অবিশ্বাস্য, শীতলতম ঔদ্ধত্য যে, তোদের ৪-০ গুঁড়িয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এমন দর্পচূর্ণের মুহূর্তেও মাতামাতির কী আছে? তোরা কী এমন টিম যে হারিয়ে উল্লাস করতে হবে? |
ট্রফি হাতে অধিনায়ক। |
ধোনি বরাবরই মাঠে আবেগ চেপে রাখা পছন্দ করেন। পূর্বসূরি এক বিখ্যাত অধিনায়কের সঙ্গে তাঁর অনেকগুলো অমিলের এটা অবশ্যই একটা। কিন্তু এই সিরিজেই প্রথম উচ্ছ্বাসের হালকা আস্তরণ নিজের মধ্যে এনেছেন। বিপক্ষ উইকেট পতনে আগের চেয়ে অনেক উদগ্র। ফিল্ডার বল মিস করলে মোহালি মাঠে চেঁচিয়ে তীব্র ভর্ৎসনাও করেছেন। নিশ্চিত ছিলাম, ব্র্যাডম্যানের শহরে গত বছর শেষ জানুয়ারিতে টিমের ৪-০ অন্তিম সংস্কারের বদলায় একটা বিশাল বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া তাঁর দিক থেকে অপেক্ষা করে থাকবেই। কে জানত, সেটা আবেগহীন পরম তাচ্ছিল্য হবে!
কে জানত, সকালের এত অনুকূল অবস্থা থেকে শেন ওয়াটসনের বেহিসেবি পুল শটটাই প্রতীকী হবে কোটলার শেষ দিনে অজি অভিযানের। আজ থেকে বহু বহু বছর বাদেও টিভির ফ্রেম বা ফটোগ্রাফারদের ছবিতে জয়ী স্ট্রোক পরবর্তী এমএসডি-র প্রতিক্রিয়া বিস্মিত করাবে। তেমনই ক্রিকেটের নবীন পাঠকও বিস্মিত হবে তাকে বললে যে, টেস্টটা অস্ট্রেলিয়ার জেতার কথা ছিল! সিরিজ আর একটু হলেই যে শেষ হচ্ছিল ৩-১!
সকালে প্রথম মুহূর্ত থেকে নাটক। অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মাঠে পা রেখেছেন। দড়ির ঠিক পিছনে দলবল নিয়ে ওয়াটসন। হঠাৎ ডাকলেন ইশান্ত আর ভুবনেশকে। ‘ব্যাপারটা কী! মাঠে প্রথম নামার অধিকার ফিল্ডিং টিমের। তোমরা কী করছ?’ ইশান্তরা হতচকিত মুখে পিছিয়ে এলেন। এত ছোট ইস্যু মাথা ঘামানোরই কথা নয়। কখনও এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঝামেলা হয়েছে বলেও কেউ শোনেনি। যাক, সাফ-সাফ তখনই পরিষ্কার হয়ে গেল, সিরিজের তীব্রতম দিন আজ!
দশ মিনিটের মধ্যে ভারত অল আউট। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রানে এগিয়ে থেকে। প্রাক্তনদের মধ্যে দেখলাম দুর্ভাবনার গভীর ছায়া নেমে এসেছে। লক্ষ্মণ-কপিল-শাস্ত্রী সবাই হঠাৎ বিষণ্ণ হয়ে পড়েছেন, এ তো গেল! যদি দেড়শোরও লিড নিয়ে ফেলে, কেলেঙ্কারি! অজিদের ম্যাচো মনোভাব তখন এতই গেড়ে বসতে চাইছে যে, ওপেনিংয়ে ম্যাক্সওয়েলকে পাঠিয়ে দিলেন সফরকারী অধিনায়ক। পিঞ্চ-হিটার। কাওয়ান তিনে। চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত। ছকটা কাজ করল না নেহাত অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের অবিবেচনায়। প্রথম কুড়ি ওভারের মধ্যে অধিনায়ক-সহ খসে গেল পাঁচ উইকেট। পিটার সিডল প্রথম দেখালেন, লম্বা পা সামনে যত দূর পারা যায় স্ট্রেচ করতে পারলে এখানেও দাঁড়ানো যায়। |
ধোনি জয়ের শট মারতেই উল্লাস সাজঘরে। |
কিন্তু বিভীষিকা যা তৈরি হওয়ার, তার আগেই হয়ে গিয়েছে। কে এসে বলল, গাওস্কর এখনই টিভিতে বলেছেন, এত খারাপ পিচ জীবনে দেখেননি! সত্যি না মিথ্যে বিচারের আগেই কপিল দেব আনন্দবাজারকে বলে গেলেন, টেস্ট ম্যাচের থার্ড ডে উইকেট এত খারাপ হতে পারে, জীবনে ভাবেননি! কেন? বেঙ্গালুরুতে ছিয়াশির সেই পাকিস্তান ম্যাচের পিচ। যেখানে কপিলের টিমের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ইমরান নিজে বল করেননি। প্রায় পুরোটাই স্পিনার। কপিল ঘাড় নাড়েন, “সেই পিচ শেষে খারাপ হয়েছিল। থোড়াই সেকেন্ড-থার্ড ডে-তে তার এই হাল ছিল!” শাস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হল, চেন্নাইয়ের সেই অষ্টআশির টেস্ট। যেখানে টার্নারে হিরওয়ানি ভেলকি দেখিয়েছিলেন ভিভকেও! শাস্ত্রী বললেন, না সেটাও এত খারাপ ছিল না। কোটলার এটা কী হয়েছে!
কাল লিখেছিলাম, কোটলার ঘূর্ণি পিচ মোবাইলের টাচস্ক্রিনের মতো। স্পর্শ করলে মোবাইল যেমন কাজ করতে শুরু করে, তেমনই কোটলার বাইশ গজ নামক খানাখন্দে বল ফেলে দিলেই হল! আপনিই ঘুরবে! এর সঙ্গে একটা লাইন যোগ করা যেত, কেউ যদি এর সঙ্গে কাঁধটা ব্যবহার করে বল পুশ থ্রু করে তার জন্য চৈত্র শেষের সেল অপেক্ষা করবে। লুঠ, লুঠ, লুঠ!
রবীন্দ্র জাডেজা তখন অনবরত তা-ই করে যাচ্ছেন। তাঁর সামনে ব্যাটসম্যানদের ক্রমাগত অস্বস্তি দেখলে কে বলবে, প্রথম ওভারে ভুবনেশের জন্য কেমন সন্ত্রস্ত ফিল্ড সাজিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক! ডিপ থার্ডম্যান, ডিপ পয়েন্ট, লং অফ। ১৭৫-এর বেশি চলে গেলেই তো ৩-১-এর করাল ছায়া আরও গেড়ে বসবে। জাডেজার সামনে ওই আত্মসমর্পণ দেখে তখন নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, পুরোটাই পিচ? না কি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচিত ছিল স্পিন-ব্যাটিং কোচ পাঠানো? ঠিক তখনই দেখা গেল বিষেণ সিংহ বেদী টুইট করেছেন, ‘কমেন্টেটররা বলছে বিনোদন। কেউ বলছে ইন্টারেস্টিং। এ তো টেস্ট ক্রিকেটকে খুন করা হচ্ছে! ইতিহাস কিন্তু এক দিন এর জবাব চাইবে!’
দেখামাত্র ফোন করলাম সর্দারকে। ধরলেন না। বোঝা গেল, যে পিচে নাথন লিয়ঁ সাত উইকেট পেতে পারেন, আর জাডেজার মতো স্পিনার ধ্বংসাত্মক হয়ে পাঁচ, সেই উইকেটে হওয়া ক্রিকেট নিয়ে আলোচনার কোনও কারণই দেখছেন না বেদী!
প্রহসন! কুৎসিত। ন্যক্কারজনক! লজ্জাকর! আত্মঘাতী!
কত রকম বিশেষণ তখন মিডিয়া এবং ভারতীয় ক্রিকেটমহলে ঘুরছে। কেউ কেউ বলছেন, বেঙ্কটসুন্দরমকে বলব গিয়ে যে, ভাই, যমুনার জল শুকিয়ে গেছে ঠিকই। তা বলে কি এত শুকিয়ে গেছে যে আপনি গত দু’সপ্তাহে পিচে এক দিনও জল দিলেন না!
আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু তখন ধোনিও। সবার ভয় ১৫৫ রান এই পিচে তাড়া করা যাবে তো? আর সেটা না হলে ঐতিহাসিক ৪-০ বিজয় অসমাপ্ত থেকে যাবে। কে না জানে, ডিজাইনার পিচ ধোনির নির্দেশেই আগাগোড়া বানানো হয়েছে। |
ভাঙা আঙুল নিয়েই পূজারার দুর্দান্ত ৮২
নিজের ব্যাট উপহার পূজারার। রবিবাসরীয় কোটলা। |
অকপটে লিখছি, ভারত একশোরও কমে এই সারফেসে আউট হয়ে গেলে মনে হয় না কেউ বিহ্বল হয়ে পড়ত বলে। অন্তত মিডিয়ায় কেউ হত না। রান তাড়া করতে গিয়ে কয়েকটা হার্টে ধাক্কা লাগবে, মনের এখনই সিটবেল্ট বেঁধে নেওয়া দরকার এটাই সবাই জানত। তাদের বরং রাত্তিরেও বিস্মিত দেখাচ্ছিল, এত কম রক্তপাতে যুদ্ধজয় সম্পন্ন হল কী করে?
ধোনির নির্দেশ হয়তো তাই ছিল যে, প্রথম ওভার থেকেই ওদের স্পিনারদের হাত থেকে লাইসেন্সটা কেড়ে নাও। যে ভাবে ট্র্যাফিক সার্জেন্ট বেআইনি পার্কিংয়ে কাড়ে। পূজারা আর বিজয়, দু’জনেই দ্রুত সুইপ মারতে শুরু করে দিলেন। ব্যাটিংয়ের ভঙ্গিটাই এত উদ্দীপ্ত যে, সোয়ান-পানেসরের পক্ষে হয়তো তার জবাব বার করা সম্ভব। লিয়ঁ-ম্যাক্সওয়েলের নয়। তাঁদের চাপের মুখে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখার সেই স্কিল নেই। কলজেও তৈরি হয়নি।
শেষ লাইনটা লিখে অবশ্য ভাবছি, ডিলিট বাটনটায় চাপ দেব কি না? স্কিল নেই, কলজে তৈরি হয়নি! নাকি সবই ছিল? পূজারা নামক ব্যাটিং মন্দিরের সামনে দাঁড়াতে না পেয়ে ফিরে গেছে। অনবদ্য পূজারার এই চতুর্থ ইনিংসের ৮২। কুম্বলের দশ উইকেট জাতীয় এ মাঠের সেরা দশ কীর্তির মধ্যে পড়বে। আঙুলের হাড় সরে যাওয়া নিয়ে পূজারা এই ইনিংস খেললেন।
কোহলিও খুব গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপে তাঁর সঙ্গে একশোর ওপর রান জুড়ে গেলেন। তবু পূজারা যেন অন্য শ্রেণির। এত নিশ্চিত ক্রিজের মধ্যে এবং বাইরে তাঁর পায়ের ব্যবহার যে, স্পিনার ঠিক লাইনটাই খুঁজে পায়নি! তাঁর দু’বার অস্ত্রোপচার হওয়া হাঁটুতে চোট। ডান হাতের হাড় সরে থাকায় ফিল্ডিং পর্যন্ত করেননি অস্ট্রেলীয় দ্বিতীয় ইনিংসে। আহত অবস্থায় এমন ইনিংস অসীম বীরোচিত! ভারতীয় ব্যাটিংয়ে যেন দু’টো শ্রেণিই হয়ে গিয়েছিল। এক দিকে পূজারা। আর এক দিকে সচিন-সহ বাকিরা। এক এক সময় তো অপটিক্যাল ইলিউশন হচ্ছিল, বাকিরা এবং তিনি একই সারফেসে ব্যাট করছেন তো? সেই মায়াবী বিভ্রমে আবিষ্ট হয়ে বোধহয় অরুণলাল বলে ফেললেন, “এ না কোনও দিন রাহুল দ্রাবিড়কে ছাপিয়ে যায়!” |
ইতিহাসে ব্রাউনওয়াশ |
১৯৯৩ ইংল্যান্ড
অধিনায়ক আজহারউদ্দিন
কলকাতা • ৮ উইকেটে
চেন্নাই • ইনিংস ও ২২ রানে
মুম্বই • ইনিংস ও ১৫ রানে |
১৯৯৪ শ্রীলঙ্কা
অধিনায়ক আজহারউদ্দিন
লখনউ • ইনিংস ও ১১৯ রানে
বেঙ্গালুরু • ইনিংস ও ৯৫ রানে
আমদাবাদ • ইনিংস ও ১৭ রানে |
২০১৩ অস্ট্রেলিয়া
অধিনায়ক ধোনি |
• চেন্নাই ৮ উইকেটে
• হায়দরাবাদ ইনিংস ও ১৩৫ রানে
• মোহালি ৬ উইকেটে
• নয়াদিল্লি ৬ উইকেটে |
|
ইংল্যান্ড এবং তার পর এই গোটা সিরিজে পূজারার ব্যাটিং দেখলে বোঝা যাবে, প্রশংসার এই বাড়াবাড়িটাও কেন ন্যায্য। পূজারাদের ভিকট্রি ল্যাপ দেওয়া শেষ হতে না হতেই গ্লেন ম্যাকগ্রার টুইট ভেসে এল: ‘ভারতকে অভিনন্দন। অনেক ভাল খেলে আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে!’ চিরদিনের ভারত সংহারক নতজানু হয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন! তার ঠিক পরপরই নামী অজি সাংবাদিক কোটলা ছাড়ার মুহূর্তে জানিয়ে গেলেন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কভার করতে ইংল্যান্ড যাচ্ছি না। একটু আগে সিদ্ধান্ত নিলাম। টানা হার দেখতে ইচ্ছে করছে না।
সেই অস্ট্রেলিয়া, যারা বিশ্ব ক্রিকেট সাম্রাজ্যকে দাবিয়ে রেখে দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে নেমে গিয়েও ভারতকে এমন মর্মান্তিক পিষেছে গত গ্রীষ্মে যে, দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ জোড়া মহাতারকা অবসরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন!
তাদের তা হলে সত্যি আজ দর্পচূর্ণের দিন!
পুনশ্চ: ম্যাচের ঘণ্টাখানেক পর দেখছি কোটলা পিচে ঝাড় দেওয়া চলছে। রাশি রাশি ধুলো উড়ছে। সত্যি মনে হয় না, এটা থার্ড ডে পিচ। এটাই তো ছবি! ভিকট্রি ল্যাপ নয়। বা পুরস্কার হাতে ম্যান অব দ্য সিরিজ অশ্বিনও নন। ভাবতে ভাবতেই চারতলার চিলেকোঠার দিকে চোখ গেল। ঘাড় গুঁজে, বিষণ্ণ একটা মুখ সেখানে দাঁড়িয়ে। পুরনো আনন্দবাজারের খেলার পাতা ধার করে বলা যায়, চোখেমুখে বোধহীন শূন্যতা। অজি সাম্রাজ্যের এক মহানক্ষত্র দুঃখে টুইট করছেন সিডনিতে বসে। আর তিনি শেন ওয়ার্ন মন খারাপ করে একলা কোটলার চিলেকোঠায়। কী অসাধারণ হয় রক্তাক্ত এই ছবিটা। যে কোনও বার্তা সম্পাদক এই ফোন-ক্যামেরার যুগে রিপোর্টারের নিজের তোলা এই ছবিটা চাইবেন।
অথচ ওয়ার্নের ছবিটা তোলাই হল না। বিষণ্ণতার ওই সর্বগ্রাসী আস্তরণ দেখে। পাবলিক প্লেস ঠিকই। কিন্তু ভীষণ প্রাইভেট মোমেন্ট। শ্মশানে ছবি তুলতে নেই!
|
ছবি: উৎপল সরকার ও পিটিআই
|
অস্ট্রেলিয়া ২৬২
ভারত প্রথম ইনিংস (আগের দিন ২৬৬-৮) ২৭২ |
ভুবনেশ্বর ন.আ. ১৪
ইশান্ত বো লিয়ঁ ০
প্রজ্ঞান এলবিডব্লিউ লিয়ঁ ০
অতিরিক্ত ৩০
মোট ২৭২।
পতন: ১০৮, ১১৪, ১৪৮, ১৬৫, ১৮০, ২১০, ২৫৪, ২৬৬, ২৭২।
বোলিং: জনসন ১৭-৩-৪৪-০, প্যাটিনসন ১৪-১-৫৪-১, সিডল ১২-৩-৩৮-১
লিয়ঁ ২৩.২-৪-৯৪-৭, ম্যাক্সওয়েল ৪-০-১২-১
|
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ১৬৪ |
ওয়ার্নার এলবিডব্লিউ জাডেজা ৮
ম্যাক্সওয়েল বো জাডেজা ৮
কাওয়ান এলবিডব্লিউ জাডেজা ২৪
হিউজ এলবিডব্লিউ অশ্বিন ৬
ওয়াটসন বো প্রজ্ঞান ৫
স্মিথ বো জাডেজা ১৮
ওয়েড ক ধোনি বো প্রজ্ঞান ১৯
জনসন বো জাডেজা ০
সিডল স্টা ধোনি বো অশ্বিন ৫০
প্যাটিনসন বো ইশান্ত ১১
লিয়ঁ ন.আ. ৫
অতিরিক্ত ১০
মোট ১৬৪।
পতন: ১৫, ২০, ৪১, ৫১, ৫৩, ৯৪, ৯৪, ১২২, ১৫৭।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ২-০-৯-০, অশ্বিন ১৫.৩-২-৫৫-২, জাডেজা ১৬-২-৫৮-৫
প্রজ্ঞান ১১-২-১৯-২, ইশান্ত ২-০-১৩-১
|
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৮-৪ |
বিজয় বো ম্যাক্সওয়েল ১১
পূজারা ন.আ. ৮২
কোহলি এলবিডব্লিউ লিয়ঁ ৪১
সচিন এলবিডব্লিউ লিয়ঁ ১
রাহানে ক লিয়ঁ বো ম্যাক্সওয়েল ১
ধোনি ন.আ. ১২
অতিরিক্ত ১০
মোট ১৫৮-৪।
পতন: ১৯, ১২৩, ১২৭, ১২৮।
বোলিং: লিয়ঁ ১৫.২-০-৭১-২, ম্যাক্সওয়েল ১১-০-৫৪-২
জনসন ২-০-১৬-০, প্যাটিনসন ৩-০-৭-০ |
|
|
|
|
|
|
|