কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার পরে বিভিন্ন অসুবিধার কথা নিয়মিত তাঁর কানে আসছিল। কখনও কাজ করছে না কনভেয়ার বেল্ট, কখনও ভেঙে পড়ছে দেওয়ালের কাচ। অভাব পরিচ্ছন্নতার, ডিসপ্লে বোর্ড-এ নিজের উড়ানসংখ্যা খুঁজে পেতেও সমস্যা হচ্ছে। রবিবার দিল্লি থেকে ফিরে তাই নতুন টার্মিনাল ঘুরে দেখবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তিনি ঘুরেও দেখেন নতুন টার্মিনাল। সঙ্গে ছিলেন বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কেন মাঝেমধ্যেই দেওয়ালের কাচ ভেঙে পড়ছে তা নিয়ে খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল। অধিকর্তা জানান, কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ইন্ডিগোর উড়ানে দিল্লি থেকে এসে কলকাতা নামেন রাজ্যপাল। তার কিছু ক্ষণ আগে বিমানবন্দরে খবর পৌঁছে যায় যে রাজ্যপাল নতুন টার্মিনাল ঘুরে দেখবেন। রবিবার ছুটির দিন বলে বিমানবন্দরের অধিকর্তা, অন্য অফিসাররা বাড়িতেই ছিলেন। তাঁদের কোয়ার্টারস বিমানবন্দরের কাছেই। ফলে, তড়িঘড়ি তাঁরা চলে আসেন বিমানবন্দরে। নতুন টার্মিনালে পা দিয়ে একতলা ও দোতলায় বিশাল এলাকা জুড়ে ‘অ্যারাইভাল’ ও ‘ডিপারচার’ এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। কী কী বিষয় নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তা জানতে চান। |
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, টার্মিনালের ভিতরে ঘোরার সময়ে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চান অধিকর্তার কাছে। তবে সূত্রের খবর, প্রধানত দু’টি বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল বেশ কিছু ক্ষণ ধরে প্রশ্ন করেন বি পি শর্মাকে। এক, নতুন টার্মিনালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। দুই, কাচ নিয়ে।
নতুন টার্মিনাল চালুর আগে থেকেই কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন নতুন টার্মিনাল পরিচ্ছন্নতার কাজ বাইরের পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে করানো হবে। কিন্তু, ১১ মার্চ থেকে একের পর এক বিমানসংস্থার নতুন টার্মিনাল থেকে উড়ান চালুর পর দেখা যায় গোটা টার্মিনাল পরিষ্কার থাকছে না। অভিযোগ, এত বড় টার্মিনালে প্রায় ৪৫টি শৌচাগার পরিষ্কার রাখতে যত সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন, ওই পেশাদার সংস্থা তার চেয়ে কম সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করেছে।
টার্মিনালের দেওয়াল যে কাচ দিয়ে তৈরি, প্রথম থেকেই একটি-একটি করে তা ভেঙে পড়ছে। এ নিয়ে তদন্তেও নেমেছে কর্তৃপক্ষ। দিল্লির একটি সংস্থাকে দিয়ে এই কাচ লাগানোর কাজ করানো হয়েছিল। এই দুই বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিমত রাজ্যপালকে জানানো হয়। বেশ কিছু ক্ষণ ঘোরার পরে ভিআইপি লাউঞ্জেও একটু বসেন তিনি। এর পর ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি শহরের উদ্দেশে রওনা দেন। রাতে এ নিয়ে কথা বলার জন্য বি পি শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাড়া পাওয়া যায়নি। |