তালিবান হুমকি উপেক্ষা করে দেশে ফিরলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ।
আগামী ১১ মে পাকিস্তানে নির্বাচন। ভোটে অংশ নিতেই দেশে ফেরা মুশারফের। কিন্তু বেনজির ভুট্টো হত্যা-সহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে তাঁর ঘাড়ে। দেশে ফিরলেই গ্রেফতার করা হবে, এই আশঙ্কাতে এত দিন পাকিস্তানে ঢুকতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু সম্প্রতি পাক আদালত গ্রেফতারের আগেই তাঁর জামিন ঘোষণা করে। কিন্তু তা হলেই বা কী, মাথার উপর নাচছে তালিবান হুমকি। তারা ঘোষণা করেছে, দেশে ঢুকলেই মুশারফকে হত্যা করা হবে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তানকে ‘বাঁচাতেই’ ফিরে এসেছেন এবং সে জন্য সব রকম ‘চ্যালেঞ্জ’ নিতেও প্রস্তুত। |
করাচি বিমানবন্দরে। ছবি:এএফপি |
চার বছরেরও বেশি স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকা মুশারফকে স্বাগত জানাতে আজ জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য সমর্থক। তবে তাঁদের ইচ্ছেপূরণ হল না। বিমানবন্দরের আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারলেন না দলীয় কর্মীরা। এক মুহূর্তও দাঁড়াতে দেওয়া হল না মুশারফকে। করাচিতে নামতে না নামতেই বেরিয়ে গেল তাঁর এক ডজন গাড়ির বিশাল কনভয়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বাতিল করে দেওয়া হল মুশারফের এ দিনের সমাবেশ। এমনকী সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হল না তাঁকে।
তালিবান হুমকির কথা শুনে গত কালই দুবাইয়ে মুশারফ বলেন, “ঘোষণামাফিক আমি বাড়ি ফিরছিই। সন্ত্রাসবাদীদের হুমকি কিংবা গ্রেফতারি পরোয়ানা, কোনও কিছুতেই আমার ভয় নেই।” আসার আগে দুবাইয়ে স্ত্রী এবং ৯৪ বছর বয়সী মাকে বিদায় জানিয়ে এসেছেন মুশারফ। এ দিন বিমানে আসার পথে সাংবাদিকদের বলেন, “খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। চার বছর পরে দেশে...।”
শুধু সন্ত্রাসবাদীদের হুমকি ও আইনি সমস্যাই নয়, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। বললেন, “কোথায় সেই লোকগুলো, যাঁরা বলেছিলেন আমি দেশে ফিরব না। প্রচুর হুমকি পেয়েছি, অনেকে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করেছে। তবু দেশের জন্য, পাকিস্তানের মানুষের জন্য আমি ফিরলাম।” |