|
|
|
|
আফ্রিকার সিংহ...
খাঁচার বাইরে... একা দেব |
ব্ল্যাক মাম্বার এক ছোবলেই মৃত্যু। ধাওয়া করছে তিন দিন না-খাওয়া সিংহ।
দেবের লাইফ ইনসিওরেন্স
পাঁচ কোটির। আফ্রিকায় ‘চাঁদের পাহাড়’-এর
হাড়হিম
করা শ্যুটিং কেমন হবে শুনলেন ইন্দ্রনীল রায় |
এ মাসের শেষ দিন। ৩১ মার্চ। কলকাতায় একটি ছোট্ট পার্টি করতে চলেছেন ‘চাঁদের পাহাড়’ ছবির পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ফিল্মের শ্যুটিং তো শুরু হবে ২০ এপ্রিল। তা হলে এত আগে পার্টি কেন? ‘‘এই শ্যুটিং-এ যে পরিমাণ ঝুঁকি আর লাইফ রিস্ক আছে, সেটা শুরু করার আগে আমরা, টিম ‘চাঁদের পাহাড়’ একটা পার্টি করতে চাই যেখানে সব কলাকুশলী এবং আর্টিস্ট থাকবে। কে জানে যদি ফিরে না আসে কেউ কেউ! এভরিওয়ান’স লাইফ ইজ অ্যাট স্টেক,” বলছিলেন কমলেশ্বর। এত বড় বাজেটের ছবি (মুখে কেউ অফিশিয়াল সংখ্যাটা না বললেও শোনা যাচ্ছে বাজেট ইতিমধ্যেই ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে) এর আগে বাংলা সিনেমায় হয়নি। তার পর ৪২ দিনের শ্যুটিং দক্ষিণ আফ্রিকায়। নিজগুণে এই দু’টো খবরই হেডলাইন হওয়ার যোগ্য। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে, ঠিক শ্যুটিং-এর মুখে ‘চাঁদের পাহাড়’ শ্যুট করতে কী পরিমাণ জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে দেব ও ‘চাঁদের পাহাড়’-এর বাকি কলাকুশলীদের, সেই খবরটাই হয়তো সব চেয়ে চিত্তাকর্ষক।
দেবের পেছনে যে সিংহগুলো ছুটবে সেগুলো তিন দিন খাবার পায়নি
সিনেমায় একটা সিকোয়েন্স থাকবে যেখানে ৬টি আফ্রিকান সিংহ দেবকে তাড়া করবে। অনেকগুলো সিনে রিস্ক থাকলেও এই সিনটা নিয়েই সব চেয়ে বেশি চিন্তিত সবাই। একটি অ্যানিম্যাল ফার্মে তিন দিনের শ্যুটিং হবে এই চেজ সিকোয়েন্সটার। জানা গেল, সিনেমাটোগ্রাফার ও পরিচালক থাকবেন তিন দিক বন্ধ এক দিক খোলা একটি খাঁচার মধ্যে। দেব আর সিংহগুলোর মধ্যে দূরত্ব মাপবে সিংহগুলোর র্যাঙ্গলার বা পরীক্ষক। খাঁচার ভেতর থেকে সিংহগুলোকে প্রলোভন দেখাতে মাংস ঝুলিয়ে রাখা হবে। পরিচালক অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গে দেবকে ছুটতে হবে। পিছনে ছ’টি আফ্রিকান সিংহ। “ছুটতে ছুটতে দেব ওই খাঁচার ভেতর ঢুকে গেলেই এক দিক খোলা খাঁচার বেরিয়ার বন্ধ করে দেওয়া হবে। সবই তো ঠিক আছে। কিন্তু বাঙালি তো! খালি মনে হচ্ছে হাতল যদি সময়মতো বন্ধ না হয়, তা হলে কী হবে,” সিগারেট খেতে খেতে বলছিলেন পরিচালক।
যখন উনি এই গল্প বলছেন ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের অফিসে, সেখানে অন্য কাজে হাজির আবির চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী প্রমুখ। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তখন তাঁরাও শুনছেন শ্যুটিংয়ের লজিস্টিক-এর কাহিনি। “আমি তো এই ছবিতে সহকারী পরিচালক হতে চেয়েছিলাম শুধু এই অভিজ্ঞতাটা সঞ্চয় করব বলে,” বলছিলেন রাজ চক্রবর্তী।
তবে সিংহের শ্যুটিং-এর সব চেয়ে বড় খবরটা পরিচালক বললেন সবার শেষে। “সিংহরা আসলে খুব অলস প্রকৃতির। এক দিন খেলে চার দিন পর্যন্ত ওঠে না। তাই ওদের দিয়ে এ রকম শ্যুটিং করাতে গেলে ওদের তিন দিন খেতে দেওয়া হয় না। তাই দেবের পিছনে যে সিংহগুলো ছুটবে, সেগুলো তিন দিন খাবার না পাওয়া সিংহ।”
ভয় তো হচ্ছেই, ব্ল্যাক মাম্বার একটা ছোবলেই তো মৃত্যু
তবে সিংহতেই থেমে থাকে না জীবনের সাঙঘাতিক ঝুঁকির কাহিনি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চাঁদের পাহাড়’ গল্পের একটি সিগনেচার সিকোয়েন্সের প্রোটাগনিস্ট শঙ্করের সঙ্গে আফ্রিকার সব চেয়ে বিষাক্ত সাপ ব্ল্যাক মাম্বার একটি দৃশ্য আছে। শ্যুটিং-এর ক্ষেত্রেও পরিচালক কোনও আপস করছেন না।
শ্যুটিং করতে হবে ব্ল্যাক মাম্বার সঙ্গেই। “ওখানে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের প্রি-প্রোডাকশন টিমকে বলেছে ঐতিহাসিক ব্ল্যাক মাম্বার সঙ্গে শ্যুটিং-এর সময় আশি শতাংশ সময় ব্ল্যাক মাম্বা কাউকে না কাউকে কামড়েছে। সব চেয়ে ভয়ের কারণ এটাই যে ব্ল্যাক মাম্বার বিষ বের করা যায় না। সুতরাং একদম বিষাক্ত সাপের সঙ্গেই শ্যুটিং আছে,” বলছিলেন পরিচালক কমলেশ্বর। কথা বলতে বলতে জানা গেল, এই শ্যুটিং-এর সময় সব চেয়ে রিস্ক থাকে সিনেমাটোগ্রাফারের। “সিনেমাটোগ্রাফারকে সব চেয়ে কাছে যেতে হবে সাপটার। সেটাই সব থেকে ভয়ের। এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক হালদার। যখন তিনি এগুলো শুনছেন, তাঁর মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট। “ঠিক করেছি
যখন কাজ করব, তখন আর ভেবে কী হবে? তবে ভয় তো হচ্ছেই। ব্ল্যাক মাম্বার একটা ছোবলেই তো মৃত্যু,” বলছিলেন সৌমিক। কথাপ্রসঙ্গে জানা গেল ঝুঁকি কমাতেই সাপ আর ক্যামেরার ওপরে একটা কাচ ধরা হবে। সাপ আক্রমণ করলে সেই কাচ ফেলে দেওয়া হবে দেওয়ালের মতো। ‘কিন্তু বাঙালি তো’, কাচ যদি ঠিকঠাক না ফেলতে পারে, তখন কী হবে?” কাঁচুমাচু মুখে প্রশ্ন সৌমিকের।
শ্যুটিং স্পটে থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স, মোবাইল হাসপাতাল
টেনশনে যে শুধু দেব বা সিনেমাটোগ্রাফার সৌমিক থাকবেন তা কিন্তু নয়। যে পঁয়ত্রিশ জন কলাকুশলী যাবেন, তাঁদেরও জীবনের ঝুঁকি থাকবেই।
আফ্রিকার যে গ্রাসল্যান্ডে শ্যুটিং হয়, সেখানে সাঙঘাতিক সাপের উপদ্রব। সেটা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।
“যেখানে যেখানে শ্যুটিং হবে, সেখানে শ্যুটিং-এর আগে কার্বলিক অ্যাসিড ফেলতেই হবে। আর সবাইকে প্রায় অ্যাঙ্কল-হাই বুট নিয়ে যেতেই হবে,” বলছিলেন এ ছবির কার্যনির্বাহী প্রযোজক অভিষেক দাগা।
ঝুঁকি শুধু সেখানেই শেষ নয়। সিংহের সঙ্গে যে দিন শ্যুটিং হওয়ার কথা, পুরো গ্রাসল্যান্ড ইলেকট্রিকের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে কারণ জিরাফ কী হরিণ এসে গেলে কেলেঙ্কারি হতে পারে শ্যুটিংয়ে।
“শ্যুটিং-এর জন্য আমরা ছোট ছোট বেস ক্যাম্প বানাচ্ছি। সেই বেস ক্যাম্পে থাকবেন কলাকুশলীরা। ক্যাম্পগুলোকে বৈদ্যুতিক বেড়া দিয়ে ঘেরা হবে। কোনও কারণে সিংহ রেগে গেলে বেস ক্যাম্প তছনছ করে দিতে পারে। অতীতে এমনটা হয়েছে,” বললেন কমলেশ্বর।
অবশ্য শুধু সিংহ কী ব্ল্যাক মাম্বা নিয়েই শ্যুটিং হচ্ছে না। দেবের সঙ্গে পাইথন, হায়নারও শ্যুটিং হবে। ব্যবহৃত হবে চিতা, কুমির, জলহস্তি। থাকবে পাফ অ্যাডার ও ভাইপারের মতো বিষাক্ত সাপ। জংলি বিছেও। “এগুলো সব কিন্তু আসল। কোনও কম্পিউটার গ্রাফিক্স নেই,” বলছিলেন দেব।
কথায় কথায় জানা গেল হায়নাকে যিনি ট্রেনিং দেবেন, তিনি ওখানকার এক বাঙালি ছেলে। নাম সুন্দর। বয়স ২২।
“সুন্দর ছেলেটি যে ভাবে হায়নার সঙ্গে খেলা করে, দেখে অবাক হয়ে যাবেন। কিন্তু হায়নাগুলো ওকে ছোটবেলা থেকে চেনে। আমাদের ঝুঁকি থেকেই যাবে,” বলছিলেন কমলেশ্বর। প্রত্যেকটা শ্যুটিংয়ের জায়গায় এত ঝুঁকি, মোবাইল হাসপাতাল রাখতেই হচ্ছে। অ্যাম্বুল্যান্সও থাকবে যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বড় হাসপাতালের আইসিইউতে পৌঁছনো যায়। এটাই শোনা গেল।
সিংহের সঙ্গে শ্যুটিং কী হাতির সঙ্গে শ্যুটিং, সব সময়ই হেলিকপ্টার রাখার কথাবার্তা চলছে যাতে সময় নষ্ট না হয়।
কমলালেবু দেখাতে হবে হাতিদের
শুধু যে সিংহ কী ব্ল্যাক মাম্বাকে নিয়েই ভয় তা কিন্তু নয়। আর একটা চেজ সিকোয়েন্স থাকবে ছবিতে আফ্রিকান হাতির সঙ্গে। “ওখানকার স্থানীয় লোকজন আমাদের পইপই করে বলেছে সিংহ, ব্ল্যাক মাম্বার থেকেও শ্যুটিংয়ে সব চেয়ে বেশি যে ভয় তা হল হাতির সঙ্গে চেজ সিকোয়েন্সের। হাতির যদি মাথা খারাপ হয় সেদিন তা হলে কেউ বেঁচে ফিরবে না,” স্পষ্ট কথা কমলেশ্বরের। এবং হাতির চেজ সিকোয়েন্সে শুধু একটি নয়, ছ’টি হাতি ব্যবহার করা হবে। গল্প করতে করতে জানা গেল আফ্রিকান হাতির সব চেয়ে প্রিয় হল কমলালেবু। যখন শ্যুটিং হবে তখন দূর থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি কমলালেবু আকাশে ছোড়া হবে হাতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। ওই কমলালেবুর লোভেই যখন ওরা ছুটতে শুরু করবে তখন দেবকে ওদের সামনে দৌড়তে হবে। “ওখানকার স্টান্টম্যানেরা আমাদের বলেছেন কোনও ভয় নেই। এক বার নাকি ওরা হাত তুলে থামতে বললেই, হাতির পাল দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাঙালি তো! খালি মনে হচ্ছে যদি কথা না শোনে,” হাসতে হাসতে বলছেন কমলেশ্বর।
পড়লে ৫০০ ফুট নীচে
হাতির চেজ সিকোয়েন্স ছাড়াও আর কিছু দৃশ্যের শ্যুটিং নিয়ে চিন্তিত সবাই। সেগুলো হবে কালাহারি মরুভূমিতে। ‘চাঁদের পাহাড়’-এর প্রোডাকশন টিমের কাছেই শোনা গেল কালাহারির মরুভূমির যেখানে শ্যুটিং হবে, সেটি হোটেল থেকে তিনশো কিলোমিটার দূরে। রোজ ছ’শো কিলোমিটার যাতায়াত করতে হবে পুরো টিমকে।
“সব চেয়ে বিপজ্জনক হল আলো থাকতে থাকতে আমাদের ফিরে আসতেই হবে। না হলে লাল মরুভূমিতে অন্ধকার হয়ে গেলে আর ফেরা যাবে না। এতটাই দুর্গম ওই জায়গাটা যে ওখানে কোনও রাস্তার সংকেতও নেই। হারিয়ে যাব আমরা। তার পর ওখানে দিনে পঞ্চাশ ডিগ্রি গরম। রাতে চার ডিগ্রি,” বলছিলেন পরিচালক। কালাহারি মরুভূমি ছাড়াও দেবকে রক-ক্লাইম্বিংও করতে হবে। এমন একটি পাহাড়ে চড়তে হবে, যেখান থেকে পড়লে সোজা ৫০০ ফুট নীচে। “এ ছাড়াও পুরনো গুহার মধ্যেও একটি পাইথনের সঙ্গে দেবের শ্যুটিং আছে,” বলছিলেন পরিচালক।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা যখন এ সব গল্প বলছেন কমলেশ্বর তখন দেব পাশের ঘরে, ‘চাঁদের পাহাড়’-এর কস্টিউমের ট্রায়াল দিচ্ছেন। চলছে নানা রকম বন্দুকের ট্রায়ালও। কিন্তু শ্যুটিংয়ের সব গল্প শুনে ঘরে একটাই আলোচনামৃত্যুর পর কী হয়, দু’ মাস আগে ইজিপ্টে ‘মিশর রহস্য’র সময় দেখে এসেছে টালিগঞ্জ।
এ বার সাক্ষাৎ মৃত্যুর সামনে যেন শ্যুটিং করতে চলেছে টলিউড।
“হাজার হোক বাঙালি তো...”
|
‘‘আমার জীবনের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ‘চাঁদের পাহাড়’। তবে ভয় পাচ্ছি না। ভয় পেলে আর শ্যুটিং করতে হবে না।’’ —দেব
‘‘শ্যুটিংয়ের জায়গায় এত ঝুঁকি, মোবাইল হাসপাতাল রাখতেই হচ্ছে। অ্যাম্বুল্যান্সও থাকবে যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বড় হাসপাতালের আইসিইউতে পৌঁছনো যায়’’
|
|
|
আফ্রিকা এক নজরে |
• পুরো শ্যুটিংয়ের জন্য দেবের জীবনবিমা হচ্ছে পাঁচ কোটি টাকার
• কলকাতা থেকে বাকি কলাকুশলীদের জীবনবিমা এক কোটি টাকা করে
• শ্যুটিংয়ের সময় কেউ সানগ্লাস, ডিওডোরেন্ট, আফটার শেভ লাগাতে পারবেন না। তাতে জন্তুজানোয়ার বিরক্ত হতে পারে
• কোনও জন্তুজানোয়ার যদি শ্যুটিংয়ের সময় আহত হয়, তা হলে ক্ষতিপূরণ শুরু এক কোটি টাকা থেকে
• সিংহ আর সিংহীকে নিয়ে কম্পোজিট শট নেওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে থাকলে ওদের ‘মন’ থাকবে অন্য কোথাও
• শ্যুটিংয়ে যত্রতত্র সিগারেট খাওয়া যাবে না দাবানলের ভয়ে |
|
|
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাসের অলঙ্করণ। |
কাহিনির নায়ক শঙ্কর
আফ্রিকার জঙ্গলে |
|
• যে সিংহগুলো ব্যবহৃত হবে তাদের ওজন আড়াইশো কেজির বেশি। উচ্চতা পাঁচ ফুট
• কোনও জন্তুজানোয়ারকে দিয়ে দু’ ঘণ্টার বেশি শ্যুটিং করানো যাবে না
• লোকেশনে কোনও আমিষ খাবার খাওয়া যাবে না। এমনকী টমেটো সসের গন্ধ পর্যন্ত জন্তুজানোয়ারদের অমনোযোগী করে তুলতে পারে
• শ্যুটিংয়ের সময় চারিদিকে ‘ইলেকট্রিকাল ফেন্সিং’ লাগানো হবে
• বিষাক্ত ব্ল্যাক মাম্বার সঙ্গে শ্যুটিংয়ের সময় সিনেমাটোগ্রাফারের ঝুঁকি থাকবে সব চেয়ে বেশি
• সব শ্যুটিং স্পটে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়াতে হবে সাপ তাড়ানোর জন্য
• কলকাতা থেকে বাংলা ছবির শ্যুটিং হচ্ছে জেনে দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কমন বক্তব্য, “উই নো কলকাতা। জাক কালিস, কলকাতা নাইট রাইডার্স।” |
|
|
|
|
|
|