কালচিনির মধু চা বাগান বন্ধ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডুয়ার্সের আরও একটি চা বাগান বন্ধ হয়ে গেল। শনিবার বকেয়া পুজোর বোনাস নিয়ে সমস্যায় বন্ধ হল বান্দাবানি চা বাগান। গত সোমবার থেকে ওই বাগানে বোনাসের দাবিতে ৬ জন শ্রমিক নেতা অনশন করছেন। এ দিন দু’জনকে বীরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক হয়েছে। বাগানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয় বলে কর্তৃপক্ষ অর্ধেক বোনাস দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তা শ্রমিকরা মানেননি। বাগানটি দ্রুত চালু করার চেষ্টা চলছে।” বন্ধ বান্দাপানি বাগান নিয়ে আগামী ২ এপ্রিল শিলিগুড়িতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছেন যুগ্ম শ্রম আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি বলেন, “বৈঠকে অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা হবে। পাশাপাশি মধু বাগান খোলার জন্যও বৈঠক হবে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এক বৈঠকে স্থির হয় অন্য বাগানের পাশাপাশি বান্দাপানি বাগানেও ১৭ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। বাগানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কথা বলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোনাস মেটায়নি মালিক। বকেয়া বোনাসের পাশাপাশি দু’মাসের বেতন না মেলায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। গত ১০ নভেম্বর শ্রমিক বিক্ষোভের কারণ দেখিয়ে মালিকপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যায়। এক মাস বাগান বন্ধ থাকার পর শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে বকেয়া রেশন ও বেতন দেওয়ার আশ্বাসে ফের বাগান চালু হয়। সেই সময় বেতন মেটানো হলেও দোলের আগে বকেয়া বোনাস দেওয়া হবে বলে মালিকপক্ষ জানায়। তা না দেওয়ায় আরএসপি, প্রগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, মোর্চা ও সিটু-র ৬ জন বাগান ইউনিটের নেতা অনশনে বসেন। বাগান মালিক সংগঠন ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “বাগানটির আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বোনাসের অর্ধেক পরিমাণ এখন এবং বাকি টাকা অগস্টে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাগানের পরিবেশ এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়েছেন মালিকপক্ষ।” |