ভাড়াটে পরিবারকে তুলতে বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের স্বামী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাউন্সিলরের উপস্থিতিতেই ভাঙচুর চলে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির রিষড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সরকারি কলোনিতে। শর্মিষ্ঠা দাস নামে ওই কাউন্সিলর অবশ্য অভিযোগ মানেননি। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “একটা ঘটনার কথা কানে এসেছে। এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখব।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্মিষ্ঠাদেবীর শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে এক দম্পতি এবং তাঁদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে ভাড়া থাকে। বেশ কিছু দিন ধরে পরিবারটিকে অন্যত্র উঠে যেতে বলছিলেন তাঁরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলে কাউন্সিলর ওই পরিবারটিকে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান। ভাড়াটে পরিবারের কর্ত্রী রেবা কয়াল বলেন, “আমরা কিছু দিন সময় চেয়েছিলাম উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সে কথা না শুনে ওরা আমাকে গালিগালাজ করে। ছেলের গায়ে হাতও তোলে।” |
আরও অভিযোগ, রাতে কাউন্সিলরের স্বামী শ্যামসুন্দর সাহার নেতৃত্বে কিছু লোক চড়াও হয় কয়ালদের ঘরে। টিভি, আলমারি এবং অন্যান্য আসবাব তছনছ করে। অ্যাসবেস্টস ভেঙে দেওয়া হয়। রেবাদেবী বলেন, “শর্মিষ্ঠার উপস্থিতিতেই ভাঙচুর চলে।”
বিষয়টি নিয়ে শনিবার রিষড়া থানায় অভিযোগ করেন রেবাদেবীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী বলছেন শর্মিষ্ঠাদেবী?
তিনি ঘটনার দায় ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলে তা চাপাতে চেয়েছেন কয়াল পরিবারের উপরেই। শর্মিষ্ঠাদেবীর কথায়, “আমরা বাড়ি ভাঙতে যাব কেন? ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করেছে।” তাঁর সংযোজন, “কেউ যদি নিজের ব্লাউজ ছিঁড়ে থানায় চলে যান, সে দায় কি আমাদের?” এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, “আমাদের দলেরই কিছু লোক ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। কাউন্সিলর সেখানে ছিলেন বলে শুনেছি। আসলে দলের কিছু লোক মানুষকে সম্মান দিচ্ছে না। যা খুশি তাই করছে।” |