|
|
|
|
|
|
|
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় |
|
|
একটা মস্ত বড় ঘরের মাঝখানে একখানা চৌকো টেবিল। তার দু’পাশে দু’খানা মুখোমুখি চেয়ার। তার একটিতে এক জন ৬৩ বছরের মহিলা বসে আছেন, সাবেকি স্টাইলের লম্বা ড্রেস পরে। দেড় মাস ধরে ওখানেই বসে থাকবেন প্রতি দিন, সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। মোট ৭৫০ ঘণ্টা, না খেয়ে, না উঠে, প্রায় স্থির হয়ে। ভিড় করে, লাইন দিয়ে লোকে ঢুকেছে সেই ঘরে। একমাত্র উদ্দেশ্য মুখোমুখি বসিবার। নিউ ইয়র্কের সেই মারিনা আব্রামোভিচ-এর বিপরীতে, যে যত ক্ষণ পারেন, সে দু’মিনিট বা দু’ঘণ্টা যত ক্ষণই হোক। স্থান: মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট। এটাই পারফরমেন্স, আর তাই দেখতে পাগলের মতো ছুটে আসছেন নিউ ইয়র্কের বোদ্ধা, অ-বোদ্ধা যত মানুষ, আসছেন শহরের সাধারণ-অসাধারণ সব রকম মানুষ, আবালবৃদ্ধবনিতা, শিল্পী-শিক্ষক-ক্রিটিক-পর্যটক। অনেকে আসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকেও। ব্লক পেঁচিয়ে লাইন পড়ছে আগের দিন সন্ধে থেকে। সবাই চাইছেন মারিনা-র মুখোমুখি বসতে।
কী এমন হতে পারে এ রকম আজব মোলাকাতে, যেখানে কথা বলা নিষেধ, ছোঁয়া বারণ, শুধু তাকিয়ে থাকার অনুমতি আছে? শুধু শিল্পীর চোখে চোখ রাখতে হবে? দর্শকের সঙ্গে পারফরমার-এর একান্তে আলাপ, দৃষ্টি বিনিময়ে। মনে হবে, এ আবার এমন কী কাণ্ড? যে কেউ পারে। কোনও ঘটনা-অঘটন নেই, আলাপচারিতা নেই, নাটক নেই, সংলাপ নেই। আছেটা কী? এতগুলো লোক আসছেন কীসের টানে? শুধু ওঁর মুখোমুখি বসেই পাগলপারা হয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। কাঁদছেন, থরথর করে কাঁপছে ঠোঁট, কারও কারও পক্ষে তাকিয়ে থাকা অসহনীয় হয়ে উঠছে কিছু ক্ষণের মধ্যেই। কেউ বা উন্মাদের মতো খুলে ফেলছেন জামাকাপড়, কেউ বসে থাকছেন ২-৩ ঘণ্টা, কেউ দেড় মাসের মধ্যে ফিরে আসছেন একুশ বার। মার্কিন টেলিভিশনে নিউজ চ্যানেল জানিয়ে দিচ্ছে, ‘শিল্প নয়, এ স্রেফ লোক-দেখানো গিমিক।’ তবু কিছু এসে যাচ্ছে না, দিনের পর দিন মারিনা জাতি-গোত্র নির্বিশেষে শুধু অন্তরের দৃষ্টি দিয়ে মানুষকে জড়িয়ে ধরছেন বুকে, নিজেও কাঁদছেন সহমর্মিতায়। মারিনা আব্রামোভিচ-কে কি শিল্পী বলব? বা অভিনেত্রী? ইনি যেটা করছেন, একে কি আদৌ শিল্প বলা যায়? তর্কের ঝড় উঠেছিল এ নিয়ে নিউ ইয়র্কের বোদ্ধা মহলে, ২০১০-এর মে মাসে। কে এই মারিনা? |
|
জন্ম ১৯৪৬, বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুগোস্লাভিয়ায়, পার্টি কমরেড মা-বাবার সন্তান। মানুষ হয়েছিলেন স্নেহে নয়, মিলিটারি শাসনের কুচকাওয়াজের নিয়ম মেনে। যেন জন্মেইছিলেন বিদ্রোহিনী হওয়ার জন্য। পড়েছিলেন সেই সময়ের কমিউনিস্ট সরকারের রোষ-নজরে তাঁর এই ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাবের জন্য। নারীবাদী প্রতিবাদে এক বহুতল বাড়ির ছাদ থেকে ঝুলে পড়েছিলেন পায়ে দড়ি বেঁধে, নগ্ন অবস্থায়, জীবনের বাজি ধরে। সার্কাসের ট্রাপিজ নয়, নীচে কোনও জালের প্রতিরক্ষা ছিল না। পুলিশও ভয় পাচ্ছিল তাঁকে নামাতে। পরবর্তী কালে, মারিনা তাঁর সঙ্গী উলায় (উওয়ে লায়জিপেন)-কে নিয়ে এক ভ্যানে করে জিপসিদের মতো বেরিয়ে পড়েছিলেন ইউরোপের নানা জায়গায় তাঁদের হরেক রকম হাই-রিস্ক ‘পারফরমেন্স আইডিয়া’র ঝুলি নিয়ে।
কখনও এক ব্যস্ত শহরের ট্র্যাফিক ভেঙে টানা ষোলো ঘণ্টা গাড়ি চালাচ্ছেন গোলাকারে, কখনও বা উলায় আর তিনি নগ্ন অবস্থায় একে অপরের দিকে ছুটে এসে ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কখনও মারিনা আর উলায় দিনের পর দিন বিপরীত দিশায় হেঁটে আসছেন চিনের দেওয়ালের ওপর দিয়ে, মাঝপথে দেখা করবেন বলে। তার পর বারো বছরের সম্পর্ক-যাত্রার ইতি ঘটল। মারিনা চলে এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শামিল হলেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে। ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন ‘পারফরমেন্স আর্ট’ জগতের ‘ডিভা’। ক্রমে অল্টারনেটিভ আর্ট-দুনিয়ার ধাই-মা। মার্জিন থেকে স্থানান্তরিত হতে হতে, শেষে সরে এলেন কেন্দ্রের একেবারে কাছাকাছি।
তা হলে নিউ ইয়র্কে এই প্রদর্শনী-পারফরমেন্স কি হলিউড-বিরোধী এক অল্টারনেটিভ তারকার জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত ছিল? ডলারে মোড়া এক ধরনের উচ্চ-ভোল্টেজ ফ্যাশন? না কি, গোদা বাংলায় যাকে বলি নিছক আঁতলামি? এটা না সেটা, তা বোঝার কোনও সহজবোধ্য রাস্তা খোলা নেই। হয়তো দুই-ই। এই নিয়েই ম্যাথিউ একার্স-এর ২০১২-তে তৈরি তথ্যচিত্র ‘মারিনা আব্রামোভিচ: দি আর্টিস্ট ইজ প্রেজেন্ট’। ছবিটিতে আমরা অন্তরঙ্গ চোখে দেখতে পাই মারিনাকে, যাঁর কাজ মানুষকে ভাবানো, চেনা পথের বাইরে গিয়ে, প্রথাগত চিন্তাকে বিপদে ফেলে। মানুষ বড় কাঁদছে। সেই ভঙ্গুর মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরে, বা কখনও তাকে আঘাত দিয়ে জাগিয়ে তুলে। এই হলেন মারিনা আব্রামোভিচ সদা উপস্থিত, সদা জাগ্রত, সমস্ত বিরোধিতা নিয়েই, মানুষীর মতোই যেন এক দেবী। এমন এক পারফরমেন্স-শিল্পী, যাঁর কোনও মঞ্চ লাগে না, জীবনের ক্ষেত্রভূমিই তাঁর পক্ষে যথেষ্ট পরিসর। |
|
৮ জানুয়ারি ২০২৪ |
মানব-শরীরে মোবাইল ফোনের সফল প্রতিস্থাপন সম্ভব কি না তা নিয়ে বেশ কিছু বছর যে তর্ক চলছিল, তার অবসান হল। গত কাল কলকাতার মেডিকেল কলেজে এক ব্যক্তির শরীরে শল্য-চিকিত্সকরা একটি মোবাইল ফোনের প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেছেন। খুব ছোট্ট আকারের ফোনটির সিম-কার্ড ও অ্যাপ্স-স্টোর ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কে, ইয়ার-ফোনটি শ্রবণযন্ত্রে এবং মাউথপিসটি কণ্ঠনালীর সঙ্গে অত্যন্ত নিপুণ ভাবে ডাক্তাররা যোগ করে দিয়েছেন। এর ফলে আলাদা করে ফোন সামলানোর ঝক্কি যেমন চলে গেল, তেমনই ফোন হারানো বা চুরি যাওয়ার ভয়ও আর রইল না। পথেঘাটে বা চলন্ত গাড়িতে কথা বলার সময়ে বিপদের ঝুঁকিও আর নেই বললেই চলে। কারণ সামনে কোনও গাড়ি দেখলেই তক্ষুনি মস্তিষ্ককে সাবধান করে দেবার মতো একটি শক্তিশালী সেন্সর ফোনটিতে লাগানো আছে। নতুন নম্বর এন্ট্রি/ ডিলিট/ মেসেজ সব কিছুই হবে মুখে মুখে। ফোন করতে চাইলে শুধু উদ্দিষ্টের নাম বলে ‘ফোন অন’ বলতে হবে। কথা শেষ হলে, ‘ফোন অফ’। ফোন ধরতে না চাইলে বলতে হবে: ‘রিজেক্ট’। ইনকামিং কলে রিংটোন বাইরের কেউ শুনতে পাবে না। কম করে পঞ্চাশ বছরের ক্ষমতাসম্পন্ন একটা ব্যাটারি ফোনে জোড়া আছে। রি-নিউ করতে চাইলে একটি ছোট্ট ব্রেন অপারেশন করিয়ে নিলেই হবে। সাধারণ লোকের কথা মাথায় রেখে ফোনটির দাম ধার্য করা হয়েছে প্রতিস্থাপনসহ মাত্র এক লাখ টাকা।
গৌতম মুখোপাধ্যায়, খড়দহ, কলকাতা |
|
|
|
|
আপনার ল্যাজ থাকার
দশটা সুবিধে
উপল সেনগুপ্ত
|
|
|
১ |
২ |
৩ |
জেঠু, ঠাকুমা ও মিনুর মা-কে না জাগিয়েই
প্রেমিকাকে মাঝরাত্রে ছাদে তুলে নিন।
|
পা ধরে গেলে, ল্যাজ পাকিয়ে সিট
তৈরি করে বসে যান।
|
চোরাবালির ভয়াল
বিপদকে কাঁচকলা।
|
|
|
৪ |
কাউবয় হতে গেলে আর আলাদা করে ল্যাসো-র দরকার নেই।
|
|
৫ |
৬ |
পরকীয়ায় সাংঘাতিক সুবিধে।
|
বর্ষা কালেও দিব্যি দু’হাত
ভর্তি করে বাজার আনুন।
|
|
|
৭ |
৮ |
লং-এ ফিল্ডিং করছেন, বিচ্ছিরি জাজমেন্টে
ক্যাচ ফসকালেন। নো টেনশন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ আপনিই। |
পকেটমারির নতুন দিগন্ত খুলে দিন।
বহু দূর থেকে তুরন্ত সাফাই সারুন। |
|
|
৯ |
১০ |
ছিপ জিনিসটাই বাতিল। ডগায় টোপ বাঁধুন,
ল্যাজে খেলিয়ে
ফটাফট দেড়মণি কাতলা ধরুন। |
ভিলেন-দমনে এমন এক্সট্রা কেরামতি দেখান,
রজনীকান্ত্-কে ছেড়ে লোকে আপনাকে ফিল্মে নেবে। |
|
|
|
|
• প্রাক-হোলি উদ্যাপন উত্সবে লিটার কে লিটার জল তেড়ে খরচা করে ঝঞ্ঝাটে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু। মুম্বই-সহ বহু জায়গায় মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে হোলি-কেন্দ্রিক ধুমধাম-আতিশয্য নিষেধ। বাপু-শিষ্যদের তাতে বয়েই গেল, তাঁরা তো রং মেখে কি মাখিয়ে অসভ্যতা করেননি এক ফোঁটা, প্রাণপণ ছড়িয়েছেন ছিটিয়েছেন দেদার জল। সরকারি হিসেব মতে, উত্সবে ৫০০০০ লিটারেরও বেশি পানযোগ্য জল নষ্ট হয়েছে। এ কাণ্ড ঘটছে সেই মহারাষ্ট্রে, গত চল্লিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরায় এ মুহূর্তে দগ্ধাচ্ছে যে রাজ্য। বহু অঞ্চল আছে যেখানে মাটি ও মাথা খুঁড়েও জল অমিল, পুরসভা আপ্রাণ চেষ্টা করে পঁচিশ দিনে এক বার মাথাপিছু দেড় বালতি পানীয় জল জোগাতে দিশেহারা, তাও বয়ে আনা কয়েক কিলোমিটার হাঁটা কি ভ্যান-পথে। এ তথ্যভারও জলে, উত্সব সার সত্য। গদগদ ভক্ত-বিবৃতি: এ কি শুধু জল গো, এ যে পলাশ ফুল-নিম-তুলসী-মেশানো, শাস্ত্রবিধিসম্মত পূত প্রসাদ, গা পেতে প্রেমসে চপচপে ভিজলে চর্মরোগ ধাঁ, ডিপ্রেশন ঢিট, দেহমন কুল। সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য সাধুর রাগ জল হয়নি, নির্জলা গালাগাল জুটেছে নিন্দুকের। হোলি ম্যান-এর এই নিলাজ হোলি-মোচ্ছবমুখরতার মধ্য দিয়ে বিপন্ন সমসময়ের অন্তর্জলি যাত্রাই ঘোষিত।
• এক স্যালুটেই ভিলেন হলেন গ্রিক ফুটবলার গিয়র্গস কাতিদিস, বিপক্ষের গোলে বল ঠেলে তামাম দর্শককে স্তম্ভিত করলেন নাত্সি স্যালুট ঠুকে। ঘটনাক্রমে ওই দিনটাই নাত্সি কনসেন্ট্রেশন চেম্বার-এ অগণিত গ্রিক ইহুদির মৃত্যুর সত্তর বছর পূর্তি, ইতিহাস-দগদগে ঘায়ে যেন নুনের ছিটে পড়ল। দেশময় ধিক্কার, ফুটবল সংস্থা পত্রপাঠ ‘লাইফ ব্যান’ ধরালেন। নায়ক গোড়ায় বোঝেনইনি ভুলটা কী, পরে সন্তপ্ত জানালেন, ওই স্যালুটের মারাত্মক নিহিতার্থ বা কদর্য ইতিহাস তিনি জানতেনই না, কোত্থেকে দেখে মনে ধরেছে, করে ফেলেছেন। লঘু পাপে গুরু দণ্ড কি না, প্রশ্ন। আরও বড় প্রশ্ন, কালপ্রবাহে দেশ-মানুষ-রাজনীতি-কূটনীতি সব কিছুই বদলায়, তবে বিশেষ একটি হস্তভঙ্গিমাকে এখনও এতখানি ঘৃণার গুরুত্ব দিলে তা একটু বেশি জঙ্গিপনা হয়ে যায় না কি? এই জিনিসটি নিয়ে এতটুকু লঘুতা চলবে না এই অনড় গোঁড়া ‘ট্যাগ’ নাত্সি দর্শনেরই কাছাকাছি খেলছে কি না, দেখার। আর অবশ্যই প্রকট হল: হালের তারুণ্যের ‘সিকি বিদ্যা ভয়ংকরী’। কিচ্ছু জানব না পড়ব না, পূর্বাপর মাথায় রাখব না, একে ওকে দেখে ঝলকাব গনগনে ট্রেন্ডি যা কিছু, হঠকারী আলটপকা কম্মো করে, কিক-অ্যাস! এ বার বোঝো। |
|
|
পুলিশ
১) ‘কপ’, অর্থাত্ তেতো বড়ি গেলার শব্দ।
২) ‘মামা’, অর্থাত্ আমার বাবা তোকে বলে: শালা!
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে খুব ছুটেছে পাখি
দুটি ডানায় থ্রি-নট-থ্রি আর উর্দির রং খাকি
হাতি মরছে ঘোড়া মরছে খুকু খাচ্ছে বিষ
কদমতলায় কালকে জারি ১৪৪ |
|
|
|
• আমি এমন একটা সমাজে বাঁচতে চাই না যেখানে বন্দুক ঝলকাবার অধিকার শুধু পুলিশের।
উইলিয়াম এস বারোজ
• জীবনে শুধু দুজনের কাছে অনবরত মিথ্যে বলবে প্রেমিকা আর পুলিশ।
জ্যাক নিকলসন
• সত্য শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে, আর শেষ হয় পুলিশের গুলিতে।
এমিল এস সিয়োরান
• পুলিশের কাজ বিশৃঙ্খলা তৈরি নয়, বিশৃঙ্খলা বজায় রাখা।
রিচার্ড ডেলি
|
খুন করেছে গরু, তাকে ধরতে গেল পুলিশ
সিংহটাকে দেখেই বলে: এইয়ো, মুখোশ খুলিস!
{দু’মাস পরে}
কেশর নেই, দন্ত ভাঙা, পা লিকলিকে সরু
কোর্টে দাঁড়িয়ে সিংহ: আমি নিশ্চিত ভাবেই গরু।
|
প্রঃ গর্গরেফ, পুলিশ কে?
গর্গরেফ: যে সমাজে চুরির দায়ে ধরা পড়েছে। সে বাড়ি বানালেই লোকে বলবে, ঘুষের পয়সা। অমায়িক হলে বলবে, ভিটভিটে ডান। অবাধ্য বাচ্চাকে তার নামে ভয় দেখানো হবে। গোলমালে সে মারা গেলে লোকে বলবে, যাক, মানুষ তো মরেনি। তার দিকে ইট ছুড়ে মানুষ ভাববে, বিপ্লব করলাম! প্রেমিকা তাকে বলবে, সব ভাল, শুধু চাকরিটা বদলাও। নইলে মুখ দেখাই কী করে?
|
|
|
|
|
আপনিও লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের একটা রিপোর্ট? ঠিকানা:
টাইম মেশিন,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|