|
|
|
|
আমলাদের ‘জানোয়ার’ বলে বিতর্কে জড়ালেন জয়রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
কথায় কথায় বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ানো যেন নেতা-মন্ত্রীদের ‘ট্র্যাডিশন’ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আজ রাঁচিতে একটি অনুষ্ঠানে এসে কথার ছলেই দেশের আমলাদের কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। রাঁচির পুরুলিয়া রোডে আজ একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন জয়রাম। ছোটদের চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকার প্রশংসা করতে গিয়ে দেশের আমলাদের ‘খতরনাক জানোয়ার’ বলে বসেন রমেশ। রমেশের এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাঁচিতে।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে এখন কেন্দ্রের শাসন চলছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের সব কাজ পরিচালনা করছেন রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদ। তিনি নিজেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রমেশের এ হেন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্যপাল। অস্বস্তিতে পড়তে হয় মঞ্চে বসে থাকা রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব এস কে সতপথিকেও।
রমেশ প্রশংসা করছিলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ভারতী কাশ্যপের। তাঁর প্রশংসা করতে গিয়ে রমেশ বলেন, “ভারতীয় আমলাতন্ত্র হল খতরনক জানোয়ার। ভারতীর মতো মহিলারাই তাঁকে ঠিক করতে পারবেন।” রমেশের এ হেন মন্ত্যব্যের পরে রাঁচিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এখানকার টেলিভিশন চ্যানেলগুলি রমেশকে কার্যত তুলোধোনা করছে। রমেশ অবশ্য নিজের বক্তব্য খণ্ডন করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও কোনও বিবৃতি দেননি।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেণীপ্রসাদ বর্মা লোকসভায় সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদবকে ‘টেররিস্ট’ আখ্যা দিয়ে ইউপিএ সরকারকেই অস্বস্তিতে ফেলেছেন। মুলায়মের ‘গোঁসা’ ভাঙাতে নাস্তানাবুদ কংগ্রেস। বাধ্য হয়ে কংগ্রেসের
মুখপাত্র জনার্দন দ্বিবেদীকে বলতে হয়, নেতারা যেন ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকেন। কিন্তু তাতে যে দলের নেতারা সতর্ক হননি রমেশের মন্তব্যই তার প্রমাণ।
আজ সকালে রমেশ রাঁচি থেকে চাতরা জেলার সিমারিয়া ব্লকে গিয়ে একটি পঞ্চায়েত ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করেন। বিকেলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে এ রাজ্যের সাংসদদের নিয়ে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে রাজভবনে বৈঠক করেন তিনি। রবিবারও রাঁচি ও ঝাড়খণ্ডে একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। |
|
|
|
|
|